দাবানল দেখালো মানুষ কতটা অসহায়

জাগো নিউজ ২৪ লস অ্যাঞ্জেলস ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৮

ক্যালিফোর্নিয়ার রাজধানী লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানল শুরু হয় ৭ জানুয়ারি। ভয়াবহ ছয়টি সক্রিয় দাবানলে অন্তত ১৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়েছে। ভৌগোলিক বিবেচনায় এ আয়তন নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটান এলাকার আড়াই গুণ। দাবানলের বিপর্যয়ে অন্তত ১২ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। আরো ৫৭ হাজার অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে রয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে দাবানলদুর্গত এলাকাগুলো 'আগুনের টর্নেডো'র ঝুঁকিতে রয়েছে। শুরুর দশদিন পরও এর তেজ কিছুটা কমলেও দেখিয়ে দিল মানুষ কতটা অসহায়!


প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও দাবানল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ভয়াবহ দাবানলে ৬০ লাখের বেশি মানুষের জীবন হুমকির মধ্যে পড়েছে। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও প্রবল বাতাসে দাবানল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এই বাতাস কমার পূর্বাভাস নেই। লস অ্যাঞ্জেলসের বিধ্বংসী এই দাবানল এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।


২০১৮ সালে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উত্তরে রেডিংয়ের কাছে একটি বিশাল এবং বিধ্বংসী দাবানলে তিনটি ফুটবল মাঠের আকারের সমান একটি আগুনের টর্নেডো সৃষ্টি হয়েছিল। সেখানে লোকজন তেমন ছিল না, তবে একজন দমকলকর্মী এর কবলে পড়ে প্রাণ হারান। বিজ্ঞানীরা পরে আগুনের টর্নেডোটিকে 'একটি বরফে ঢাকা মেঘের' মতো আকারের বলে বর্ণনা করেন। এটি বাতাসের সঙ্গে ৭ মাইল পর্যন্ত এগিয়েছিল এবং ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে পর্যন্ত বাতাস সৃষ্টি করেছিল।



সেরকম আশঙ্কা জানুয়ারি ০৭, ২০২৫-এ এসে দাবানল ভয়ংকররুগে আবারো দেখা দিয়েছে! আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাবানলদুর্গত এলাকাগুলো 'আগুনের টর্নেডো'র ঝুঁকিতে রয়েছে। এটি একটি বিরল বিষয় এবং এমন এক বিপজ্জনক অবস্থা, যেখানে দাবানল 'নিজস্ব আবহাওয়া' তৈরি করে থাকে।


আবহাওয়াবিদ টড হল বলছেন, বর্তমান চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার দমকলকর্মীরাও আগুনের টর্নেডোর মুখোমুখি হতে পারে।সান্তা বারবারার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিদ্যার অধ্যাপক লেইলা কারভালহো বলেন, অশান্ত ধোঁয়াসহ দাবানল একটি মেঘমালা তৈরি করতে পারে। এটি বজ্রপাতের মতো আগুন, ছাই বা ধোঁয়ার ঘূর্ণি তৈরি করতে পারে।


ইউসিএলএর একটি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই দাবানলগুলো বর্তমান বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আরো বড় এবং আরো গরম হয়ে উঠেছে, যেখানে গ্রিনহাউজ গ্যাস দূষণ একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। দাবানল প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রয়োজন ক্রমশ বাড়ছে এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রতিটি জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার লড়াই এখন আরো কঠিন হয়ে উঠেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও