ছয় মাসেও দৃশ্যমান সংস্কার কার্যক্রম নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষায়
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। পেশায় তিনি একজন মনোরোগ চিকিৎসক। তার অধীন মন্ত্রণালয়ের আওতায় দপ্তর আছে পাঁচটি। মহাপরিচালক ও উপ-মহাপরিচালক হিসেবে এগুলোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। মোটাদাগে দেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের প্রায় সবারই এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা তেমন একটা নেই।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে বিবেচনা করা হয় শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হিসেবে। এ ধাপের শিক্ষার মানের ওপর নির্ভর করেই শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতার ভিত গড়ে ওঠে। এ কারণে উন্নত বিশ্বে এ পর্যায়ের শিক্ষা গুরুত্ব পায় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে এ পর্যায়ের শিক্ষাকে কখনই কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এর মধ্যে আবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পঠন-পাঠনের পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষকদের দক্ষতা নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। বিগত কয়েক দশকে দেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এ পর্যায়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে সেগুলো কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সেদিক থেকে বড় ধরনের ঘাটতি থেকে গেছে।