মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন, পেছনে থেকে মাথায় গুলি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:১০

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের হোটেল সিগাল পয়েন্ট। ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। বালুচরে পর্যটকদের সমুদ্র দর্শনের জন্য বসানো চেয়ার-ছাতার ‘কিটকটে’ বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের সদ্য অপসারিত কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী ওরফে টিপু (৫৪) এবং ঋতু নামের এক তরুণী। রাত আটটার দিকে কিটকট ছেড়ে দুজন সৈকত থেকে হেঁটে সিগাল হোটেলের দিকে যাচ্ছিলেন। ঋতু রব্বানীর চার-পাঁচ কদম আগে আগে হাঁটছিলেন। পেছনে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন গোলাম রব্বানী।


ঋতুর ইশারায় আগ থেকেই গোলাম রব্বানীকে নজরদারিতে রাখেন শেখ শাহরিয়ার ইসলাম ওরফে পাপ্পুসহ চারজন। সৈকত থেকে পাকা সড়কে ওঠার জন্য গোলাম রব্বানী যখন ঝাউবাগানের ভেতরে চলে আসেন, তখন সামনে এগিয়ে যান শেখ শাহরিয়ার। তারপর অন্ধকার রাতে পেছন দিক থেকে রাব্বানীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে একটি গুলি ছোড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটে পড়েন রব্বানী। এরপর গোলাম রসুলকে (২৫) সঙ্গে নিয়ে শেখ শাহরিয়ার রিকশায় উঠে চলে যান কক্স কুইন রিসোর্টে। আর ঋতু ও রিয়াজ নামের অপর দুজন সরে পড়েন অন্যদিকে।


হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া তিন আসামি  ঋতু (২৪), শেখ শাহরিয়ার ইসলাম (২৭) ও গোলাম রসুল (২৫) গত বুধবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এভাবে খুনের বর্ণনা উঠে আসে। আসামিরা সবাই খুলনার বাসিন্দা।


আদালত সূত্র জানায়, পাঁচ মাস আগে করা এই পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন আটজন। চাচা চরমপন্থী নেতা শহীদুল হত্যার বদলা নিতে শেখ শাহরিয়ার ইসলাম তরুণীর মাধ্যমে এই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিন আসামি কক্সবাজারের পৃথক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও