টিউলিপ যেভাবে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনলেন

প্রথম আলো মার্টিন কেটল প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:০২

তাত্ত্বিক দিক থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রীর পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের জন্য একটি রাজনৈতিক ধাক্কা হতে পারে। তবে এটি কোনো বড় সংকট নয়।


টিউলিপ একজন স্বল্প পরিচিত রাজনীতিক; শীর্ষ সারির কেউ নন। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর নাম খুব বেশি পরিচিত নয়। তাই তাঁকে সহজেই রাজনৈতিকভাবে বলি দেওয়া সম্ভব। তবে বাস্তবতা হলো, তাঁর পদত্যাগে সরকারের নীতিগত দিক পরিবর্তিত হবে না।


স্বাভাবিকভাবেই এটি টিউলিপের জন্য একটি কঠিন ব্যক্তিগত মুহূর্ত। তবে ব্রিটিশ জনগণের কাছে এটি একেবারেই গৌণ একটি বিষয়; এবং এটাই স্বাভাবিক।


খুব কম মন্ত্রীই সাধারণ মানুষের মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলতে পারেন। তাঁদের মধ্যে যাঁদের পদত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকে (যেমন জিওফ্রে হাও, রবিন কুক বা সাজিদ জাভিদ) তাঁদের কথা অবশ্য আলাদা।


অধিকাংশ মন্ত্রীর পদত্যাগের প্রসঙ্গ সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যায়। টিউলিপ সিদ্দিকের ক্ষেত্রেও সেটি হবে। তবে তাঁর বিদায় থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নেওয়ার আছে।


প্রথমত, সিদ্দিক নিজেই নিজের পতন ডেকে এনেছেন। তাঁর জানা উচিত ছিল—তাঁর লন্ডনের ফ্ল্যাট ও সম্পত্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাঁর বোঝা উচিত ছিল, তিনি যেহেতু মন্ত্রী হতে ইচ্ছুক ছিলেন, বিশেষ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, সেহেতু তাঁকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই হতো। কিন্তু তিনি তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।



টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রী থাকাকালে বাংলাদেশে তাঁর খালা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন—এটি বিবেচনায় নিলে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। তাঁর নানা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তাঁর খালা হাসিনা ১৫ বছর ধরে ক্রমে দমনমূলক নীতি অনুসরণ করেছিলেন। ব্রিটেনে লেবার পার্টির বিজয়ের এক মাস পর, গত আগস্টে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সিদ্দিকের উচিত ছিল হাসিনার পতনের আগে এবং পরে আরও সাহসী ও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া, যাতে তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা সন্দেহ ওঠার সুযোগ না থাকে।


অবশ্য এখন যা ঘটে গেল তাঁর জন্য তিনি একাই দায়ী নন।


২০২৪ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টি রাজনীতিতে জনগণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালায়। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে রাজনৈতিক সংস্কারকে ভোটারদের জন্য একটি মূল প্রতিশ্রুতি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার আগেভাগেই সু গ্রে-কে নিয়োগ দেন। সু গ্রের দায়িত্ব ছিল দলকে সরকার পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করা। তাঁর অন্যতম কাজ ছিল সম্ভাব্য মন্ত্রীদের আর্থিক অবস্থা ও তাঁদের সন্দেহজনক কোম্পানি বা শাসকদের সঙ্গে থাকা সম্পর্ককে কঠোরভাবে যাচাই করা। রাজনীতি ও সরকারকে যে গভীর সংকট থেকে বের করে আনা দরকার—সেটি লেবার পার্টির কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত ছিল।


কিন্তু তা হয়নি। বরং, যখন ২০২২ সালে সিদ্দিকের সম্পত্তির বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে, তখন লেবার পার্টি তাঁকে রক্ষা করতে এককাট্টা হয়ে যায়। এটি একধরনের প্রবণতা হয়ে ওঠে। স্টারমার ও গ্রের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি দলের শীর্ষ নেতাদের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি উদাসীন ছিল।


স্টারমার ও অন্যান্য সিনিয়র নেতা (যেমন অ্যাঞ্জেলা রেইনার ও র‍্যাচেল রিভস) আবাসন, পোশাক ও বিনোদনের জন্য ব্যবহার্য জিনিস উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও