রাতের সড়কে ভয়ংকর রেসিং
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার। চলার পথে মনিটরে দেখা মিলবে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটারের নির্দেশনা। কিন্তু রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেপরোয়া গতিতে চলে কিছু প্রাইভেট কার। এর চালকের আসনে থাকেন উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা। বেশিরভাগ চালকরাই মানেন না গতির সীমা। রাতের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যেন গাড়ির ‘রেসিং ওয়ে’। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও তদারকির কেউ নেই।
জানা যায়, রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট, হাতিরঝিল অংশে র্যাম্প দিয়ে খুব সহজেই ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যে আসা-যাওয়া করা যায়। ফলে যানজট এড়াতে বেশিরভাগ গাড়ি এলিভেটেড দিয়ে যাতায়াত করে। রাত ১১টার পর থেকে উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা প্রাইভেট কার ও স্পোর্টস কার দিয়ে বেপরোয়া ১০০ থেকে ১৫০ গতিতে রেসিং করেন।
গত মাসের ২৬ তারিখে ঢাকা মেট্রো খ-১১২৫২১ নম্বরের একটি প্রাইভেট কার বেপরোয়া গতির ফলে রেলিংয়ে ধাক্কা দেয়। এতে করে গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়িতে থাকা তিনজন গুরুতর আহত হন। অন্য গাড়ির চালকরা বলছেন, রাতে বেপরোয়া গতির গাড়ি চলার কারণে তারাও ঝুঁকিতে রয়েছেন।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- রেসিং
- সড়ক দুর্ঘটনা
- রেসিং কার