মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দরকার কার্যকর পদক্ষেপ
ছাত্র-জনতার গৌরবদীপ্ত জুলাই ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে কিছুকাল দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ দৃশ্যমান ছিল। কিন্তু স্বল্পসময়ের ব্যবধানে দেশের বাজারে আলু, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি কিছু পণ্যের শুল্ক-কর কমিয়েছে। আমদানির অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কিছু পণ্যের। তাছাড়া টিসিবির পণ্য বিক্রি বাড়ানো, বাজার তদারকি সংস্থাগুলোর অভিযান বৃদ্ধি, সরবরাহ নিশ্চিতে সহযোগিতা এবং জেলায় জেলায় টাস্কফোর্স গঠনসহ বিভিন্ন ইতিবাচক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এতৎসত্ত্বেও নিত্যপণ্যের বাজারব্যবস্থায় সিন্ডিকেটের কারসাজিসহ বিভিন্ন অদৃশ্য কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা যাচ্ছে না। এটি অনস্বীকার্য যে, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়লে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু দেশে পণ্যের বাজারে কোনো ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও দাম বাড়ার যৌক্তিকতা কতটুকু, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- মূল্যস্ফীতি
- মূল্যস্ফীতির হার