হাসিনার পতন নিয়েই কি খুশি থাকতে হবে

প্রথম আলো এ কে এম জাকারিয়া প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৩

সংস্কার, নির্বাচন এবং এটা নিয়ে দেশের রাজনীতি—সবকিছুই কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে গেছে। হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী-সমাজ, এর সহায়ক ও সমর্থক রাজনৈতিক শক্তি এবং অন্তর্বর্তী সরকার—কেউই এখন আর একসুতায় গাঁথা মালার মধ্যে নেই।


শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্র ও সমাজে বড় ধরনের সংস্কার চান। তাঁরা মনে করেন, শুধু একটি নতুন নির্বাচন আয়োজনের জন্য এতগুলো মানুষ প্রাণ দেননি। তাঁরা এমন একটি রাষ্ট্রকাঠামো নিশ্চিত করতে চান, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ হাসিনার মতো স্বৈরশাসক হয়ে উঠতে না পারেন।


সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারসহ কিছু সংস্কার এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের আগেই তাঁরা এসব বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান। বর্তমান সংবিধানের অধীনে নতুন সংসদ তৈরি হলে তারা সংবিধান সংস্কার বা নতুন সংবিধান তৈরি করবে—এমন ধারণার প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থা নেই।


অনেক রক্তের বিনিময়ে হাসিনার মতো একজন স্বৈরশাসকের উৎখাতকে প্রচলিত অর্থে বিপ্লব বলার সুযোগ নেই (যদিও অনেকে মনে করেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল)। কিন্তু এটা আবার গতানুগতিক অভ্যুত্থানও নয়। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান আর জুলাই অভ্যুত্থান এক নয়। নব্বইয়ে এত মানুষ প্রাণ দেননি, এত মানুষ রাস্তায়ও নামেননি।



জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কিছু বিপ্লবী চেতনা ও অবস্থান আছে। এই গণ-অভ্যুত্থান থেকে ছাত্র ও জনতার অনেক চাওয়া তৈরি হয়েছে। নতুন একটি নির্বাচন এবং এর মধ্য দিয়ে সেই পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার এটি ভয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন আছে, তেমনি অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া জনতার মধ্যেও আছে। গণ-অভ্যুত্থান শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হতে যাচ্ছে—এমন হতাশাও অনেকে পেয়ে বসেছে।


অন্যদিকে বিএনপিসহ গণ-অভ্যুত্থানের সহায়ক কিছু রাজনৈতিক দলের অবস্থান আবার এ ক্ষেত্রে ভিন্ন। তারা দ্রুত নির্বাচন চায়, নির্বাচনের রূপরেখা চায়। তারা মনে করে, সংস্কার বা যা কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন, তা করবে নির্বাচিত সরকার। দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা সরকারকে নানাভাবে চাপ দিয়ে যাচ্ছে।


এরই মধ্যে গত ১৬ ডিসেম্বরের ভাষণে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ের ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সরকার সংস্কারের জন্য বেশ কিছু কমিশন করেছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই সম্ভবত তাঁর ও তাঁর সরকারের চাওয়া ছিল। কিন্তু তাঁর বিজয় দিবসের ভাষণে স্পষ্ট হলো যে তিনি সেই অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন।


অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমি সব প্রধান সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদের যদি, আবার বলছি “যদি”, অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচনপ্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও