বিগত সরকারের আমলে শুধু অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নানা অযৌক্তিক প্রকল্প গ্রহণের বিষয়টি বহুল আলোচিত। স্থলবন্দর নির্মাণেও তেমনটাই দেখা গেছে। শনিবার যুগান্তরের খবরে প্রকাশ-মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি স্থলবন্দর। ওই তিন বন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৬০.৪ একর জমি। সেখানে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে অন্তত ১৪৩ কোটি টাকা। অথচ এ তিনটি স্থলবন্দর চলছে ঢিমেতালে। পণ্য না থাকায় কখনো কখনো বন্দর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। যদিও এসব বন্দরে রাজস্ব বিভাগ, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত অবস্থান করতে হয়।
এ পর্যন্ত এই তিন স্থলবন্দর থেকে ২০ কোটি টাকাও আয় হয়নি কর্তৃপক্ষের। জানা গেছে, স্থলবন্দর তিনটি নির্মাণের নেপথ্যে ছিলেন বিগত সরকারের তিনজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এক মুখ্য সচিব। বন্দর তিনটি হচ্ছে-শেরপুরের নাকগাঁও, ময়মনসিংহের গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী এবং জামালপুরের ধানুয়া-কামালপুর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই তিন জেলায় একটি অথবা সর্বোচ্চ দুটি স্থলবন্দরই যথেষ্ট। অথচ সেখানে তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় মাত্র তিন কিলোমিটার ব্যবধানে গোবড়াকুড়া ও কড়ইতলী নামে দুটি পৃথক শুল্ক স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে, যদিও এ দুটি টার্মিনালের বিপরীতে ভারতের মেঘালয়ে রয়েছে মাত্র একটি স্থলবন্দর।