ভারত–আফগানিস্তান: ‘হিন্দুবাদী’ ও ‘ইসলামি’ দুটি দেশের সম্পর্কের রসায়ন

প্রথম আলো শুভজিৎ বাগচী প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৪

অতীতের মতোই আফগানিস্তানের উন্নয়নের সঙ্গে নিজেকে জড়াতে দিল্লি প্রস্তুত। ভারত ও আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবদের এক বৈঠকের পর গত বুধবার জানিয়েছে ভারত।


দুবাইতে বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এদিন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ও আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলভি আমির খান মুত্তাকির মধ্যে একটি বৈঠক হয়। 


এ বৈঠকে ভারত জানায়, আফগানিস্তানের উন্নয়নে শামিল হতে দিল্লি প্রস্তুত। বিবৃতির ভাষায়, ‘পররাষ্ট্রসচিব আফগান জনগণের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব এবং দুই দেশের জনগণের শক্তিশালী যোগাযোগের কথা তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আফগান জনগণের জরুরি উন্নয়নমূলক প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার জন্য ভারতের প্রস্তুতির ওপর জোর দেন।’ দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ প্রতিনিধিদের মধ্যে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক ও ঘোষিত বৈঠক।


আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে আফগানিস্তান থেকে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী দেশে ফিরে যায়, তখন ভারত প্রবল দ্বিধা ও উদ্বেগের মধ্যে ছিল। আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের নীতি কী হবে, তা নিয়ে ছিল এ উদ্বেগ। 


একদিকে আফগানিস্তানে ভারতের সরকার ও বেসরকারি শিল্পপতিদের যে বিনিয়োগ আছে তা এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো বাঁচানোর একটা তাগিদ ছিল; অন্যদিকে তালেবান নেতৃত্বাধীন ইসলামি আমিরাতের সরকারের সঙ্গে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকারের সম্পর্কের চরিত্র কী হবে, তা নিয়ে সরকার ও বিজেপির মধ্যেই ছিল নানান আলোচনা ও মতবিরোধ।




  • আফগানিস্তানের এই সরকারে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি আল–কায়েদার সঙ্গে একসময় সম্পৃক্ত ছিলেন।
    চীনের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্কের ক্রমে উন্নতি হচ্ছে। শুধু কূটনৈতিক নয়, ব্যবসায়িক স্তরেও তাদের সম্পর্ক ক্রমে দৃঢ় হচ্ছে।

  • কিন্তু এই সময়পর্বে (২০২১-২৪) দেখা যায়, চীনের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্কের ক্রমে উন্নতি হচ্ছে। শুধু কূটনৈতিক নয়, ব্যবসায়িক স্তরেও তাদের সম্পর্ক ক্রমে দৃঢ় হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভারতও ধীরে ধীরে আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা শুরু করে।


মনে রাখা প্রয়োজন, আফগানিস্তানের এই সরকারে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি আল–কায়েদার সঙ্গে একসময় সম্পৃক্ত ছিলেন। ফলে অন্য অনেক দেশের মতোই ভারত এখনো কাবুলে তালেবান শাসনকে স্বীকৃতি দেয় না। তালেবান ক্ষমতা দখলের পরে ভারত তার সব কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে।


কিন্তু এক বছর পর ২০২২ সালের জুনে ভারত তার কূটনৈতিক অফিস আবার চালু করে এবং একটি দল সেখানে মোতায়েন করে কাবুলে তার আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি আবার প্রতিষ্ঠা করে। 


এর প্রধান কারণ, ইসলামি আমিরাতের সরকারকে চীনের স্বীকৃতি থেকে ভারত বুঝতে পারে, অতীতে তাদের যারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী বলেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনায় না বসাটা এখন বড় ধরনের ভুল হবে। গোটা ২০২৩-২৪ সালে এ লক্ষ্যে কাজ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


ফল ফলতে শুরু করে গত নভেম্বরে


এর ফলে গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে পশ্চিম ভারতের মুম্বাইয়ে আফগানিস্তানের অন্যতম কনস্যুলেট অফিসে অস্থায়ী কনসাল জেনারেল হিসেবে একরামউদ্দিন কামিল নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছে ইসলামি আমিরাতের সরকার। কামিল ভারত সরকারের বৃত্তি পেয়ে দিল্লিতে অবস্থিত সাউথ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে পিএইচডি করছেন। 


নভেম্বর মাসের গোড়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিভাগের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব জে পি সিং কাবুলে গিয়ে ইসলামি আমিরাতের অস্থায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুবের সঙ্গে দেখা করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও