খাদ্যচক্রে মাইক্রোপ্লাস্টিকের জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি

বণিক বার্তা শফি মুহাম্মদ তারেক প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০

প্লাস্টিকের বিষয়ে আমরা সবাই কমবেশি অবগত এবং দৈনন্দিন জীবনে এর ব্যবহারে অভ্যস্ত। দ্রুত নগরায়ণ ও উন্নয়নের সঙ্গে প্লাস্টিকের কম খরচ, টেকসই ও বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগিতা থাকায় এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে বর্তমান সময়কে প্লাস্টিক যুগ বলা যেতে পারে। এছাড়া কভিড-১৯ মহামারী প্লাস্টিকের প্যাকেজিং এবং শপিং ব্যাগের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে প্লাস্টিকের অপচনশীল প্রকৃতি পরিবেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে তাপ, চাপ এবং জীবাণুর প্রভাবে ভেঙে গিয়ে প্লাস্টিকের কণা ক্ষুদ্র আকারে পরিণত হয়, যাকে আমরা মাইক্রোপ্লাস্টিক হিসেবে চিনি। সাধারণত ৫ মিলিমিটারের (৫ হাজার মাইক্রোমিটার) চেয়ে ছোট আকারের কণাগুলোকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলা হয়।


মাইক্রোপ্লাস্টিকের উৎস মূলত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্যের অবক্ষয় থেকে সৃষ্টি হয়। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল, ব্যাগ, প্যাকেজিং সামগ্রী, টায়ার, কাপড়ের সিনথেটিক ফাইবার ইত্যাদি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়। সূর্যের আলো, তাপমাত্রা এবং প্রাকৃতিক ঘর্ষণের কারণে এ প্লাস্টিকগুলো ক্ষুদ্র টুকরো বা কণায় ভেঙে মাইক্রোপ্লাস্টিকে রূপান্তরিত হয়। এছাড়া কিছু মাইক্রোপ্লাস্টিক পণ্য সরাসরি ছোট আকারে তৈরি করা হয়; যেমন স্ক্রাবিং পণ্য বা প্রসাধনীতে ব্যবহৃত মাইক্রো-বিড, যা ব্যবহারের পর পানির মাধ্যমে সরাসরি পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্লাস্টিকের বিভিন্ন ধরনের পলিমার রয়েছে, যাদের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার ভিন্ন। প্রথমত, পিইটিই (পলিথিন টেরেফথালেট), যা সাধারণত পানি ও পানীয়ের বোতল এবং রান্নার তেলের পাত্রে ব্যবহৃত হয়। এরপর এইচডিপিই (উচ্চ ঘনত্ব পলিথিন), যা বালতি, ডিটারজেন্টের বোতল এবং খাবারের পাত্রে ব্যবহৃত হয়। তৃতীয়ত, পিভিসি (পলিভিনাইল ক্লোরাইড), যা খাবারের ট্রে, পাইপ ও চেয়ারে ব্যবহৃত হয়। এলডিপিই (নিম্ন ঘনত্ব পলিথিন) সাধারণত ক্যারিয়ার ব্যাগ, রুটির ব্যাগ এবং খাদ্য সংরক্ষণ পাত্রে ব্যবহৃত হয়। পিপি (পলিপ্রোপাইলিন) প্লাস্টিক স্ট্র, শ্যাম্পুর বোতল এবং বোতলের ঢাকনায় ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় পলিমার। এছাড়া পিএস (পলিস্টাইরিন) প্রধানত ভেন্ডিং কাপ, প্যাকিং পিনাট এবং সিডি (কেস) তৈরিতে ব্যবহার হয়। এদের মধ্যে এলডিপিই এবং পিপি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পলিমার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও