মিয়ানমার প্রসঙ্গ : বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
আরাকান আর্মি সম্প্রতি রাখাইনে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। সামনের দিনগুলোতে কী হবে, সেটি না ভেবে বলা যায়, এটি রাখাইনের জনগণের জন্য বহু বছর ধরে প্রতীক্ষিত একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। ২৭১ কিলোমিটার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মধ্যে মিয়ানমার অংশের পুরো এলাকা এখন আরাকান আর্মির দখলে। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ তাদের সীমান্ত পোস্টগুলো ফেলে পালিয়ে গেছে এবং সেসব পোস্ট এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। সীমান্তের দুপাশে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সীমান্তরক্ষীদের থাকার কথা এবং তারা সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও এ সংক্রান্ত কার্যক্রমে অভিজ্ঞ। সীমান্ত দিয়ে মাদক, অস্ত্র, চোরাকারবার ও মানব পাচার বন্ধে সীমান্তরক্ষীরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। আরাকান আর্মির সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এ অরক্ষিত সীমান্ত বাংলাদেশের নিরাপত্তায় চাপ ফেলছে। বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্তসংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আরাকান আর্মিকে অবহিত করতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিজিবি ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- আরাকান আর্মি