বিনিয়োগ না বাড়ালে মন্দা দেখা দেবে

কালের কণ্ঠ মো. মাহবুবুল হক প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৬

৫ আগস্ট ২০২৪ সরকার পতনের পরবর্তী তিন দিন প্রশাসনিক শূন্যতায় ছিল বাংলাদেশ। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এ সময়ের মধ্যে গ্রাম-শহর-নির্বিশেষে দেশবাসীর সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় ছিল বেঁচে থাকা—কখন বাসায় ডাকাত পড়ে, কখন ছিনতাকারীর কবলে, চুরি-ছিনতাই-লুটপাট।


বাজারে ভোগ্য পণ্যের দাম বেড়ে নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

এমন চলতে থাকলে তারা যে না খেয়ে মরবে! মিডিয়ায় পাওয়া খবর অনুযায়ী সরকার স্বল্পমূল্যে নিত্যপণ্য সামগ্রী টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে দুস্থদের কাছে বিক্রি করার জন্য দেশব্যাপী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। দেখা গেল, যেসব বিক্রেতাকে টিসিবির পণ্য বিতরণের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তারা কাজ ফেলে চলে গেছে। তারা নাকি সাবেক সরকারের প্রতি অনুগত। এমন না হওয়াটা বরং অস্বাভাবিক।

যারা সস্তায় ভোগ্য পণ্য কিনতে বাধ্য, তারা টিসিবির ট্রাক খুঁজে বেড়ায়। কারো আশা পূরণ হয়, কারো হয় না। যার হয় না, সে এবং তার পরিবারের সদস্যরাও অভুক্ত থাকতে পারে। বিষয়টি গুরুতর।




দেশের  বেশির ভাগ মানুষই দরিদ্র। তারা অভুক্ত থাকলে তো সরকারের প্রতি জনরোষ বৃদ্ধি পাবে, যার পরিণতি সরকার ও ক্রেতা কারো জন্য শুভ হবে না। সরকার গঠনের দিন যদি ভোগ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণব্যবস্থা নিশ্চিত করতে একটি সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে আজ এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। একসময়ে পাড়ায় পাড়ায় রেশন দোকান ছিল। সপ্তাহওয়ারি যে যার রেশন তুলে নিত।

টিসিবির ট্রাকের পেছনে রাস্তায় রাস্তায় ছুটে বেড়ানো দুস্থদের জন্য অবমাননার শামিল। রাস্তায় ট্রাক থেকে কেনার ক্ষেত্রেও একটি ফাঁকি আছে। তা কেমন? ট্রাক বোঝাই পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে গেলে লাইনে দাঁড়িয়ে দুস্থদের বঞ্চিত হতে হয়। টিসিবির ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থার বদলে সম্মানজনক বিতরণব্যবস্থা চালু করার কথা ভাবা যেতে পারে; যেমন—দেশজুড়ে রেশনব্যবস্থা। আপৎকালীন বাজারমূল্য সহজলভ্য করার লক্ষ্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে দেশজুড়ে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় রেশন চালু করা যেতে পারে। রেশনব্যবস্থা ভারতে এখনো বলবৎ আছে। যত দিন আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ না হব, তত দিন আমাদের জন্য এ ব্যবস্থা অপরিহার্য।


আরোগ্যলাভের সঙ্গে সময়-কালের সম্পর্ক নেই। বিশেষভাবে প্রযোজ্য তাদের জন্য, যারা জরুরি বিভাগের রোগী। সাবেক স্বৈরাচারী অবৈধ সরকারকে গদিচ্যুত করার মূল্য পূরণযোগ্য নয়। দেড়-দুই হাজার শহীদ, হাজার হাজার আহত, অন্ধত্বের বিনিময়ে এই দেশ রাহুমুক্ত হয়েছে। সরকার বলেছে, যারা প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, তাদের পরিবারের একজনের ভার গ্রহণ করা হবে। যাদের চিকিৎসার সুযোগ দেশে নেই, তাদের বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার দায়িত্ব সরকার নেবে। যারা আহত, চোখে দেখতে পায় না, হাত অথবা পা কেটে ফেলতে হতে পারে, তাদের এ দেশেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও