২০২৫ সালের সাংস্কৃতিক অঙ্গন হোক উৎসবমুখর

ঢাকা পোষ্ট ড. আরিফ হায়দার প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৮

২০২৫ সাল। নতুন বছর আসছে আগমনী বার্তা নিয়ে। কীসের বার্তা? কার বার্তা? কোন পথে আসছে? এমন প্রশ্ন হাজারো করা যায়। কিন্তু এই প্রশ্নগুলো কে, কাকে করছে সেটাই বড় বিষয়। তবে কাউকে না কাউকে তো প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হবে। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন। তাইতো মুখোমুখি হতে পিছ পা হয়নি কখনো। বাংলার মানুষ অনেক আগে থেকেই ভবিষ্যৎ দেখতে পায়, আর তাই বীজ বপন করতে থেমে থাকে না।


২০২৫ সাল বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চর্চা কেমন হবে তারই একটা ভাবনা মাত্র। আমাদের দেশ সবুজে ঘেরা। মাঠ-ঘাট, বাউল, রাখালের বাঁশির সুর এসবই যেন বাংলার সংস্কৃতি। সাদা মনের মানুষেরা নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়াতে নাকি সাংস্কৃতিক চর্চা করে। এমন কথা বাবা-মার কাছ থেকে শুনতে হয়েছে। তবু থেমে থাকেনি বাংলার সংস্কৃতি-সাংস্কৃতিক চর্চা।


অনেকগুলো ভাগে সাংস্কৃতিক চর্চা হয়ে আসছে সেই কবে থেকে, যুগের পর যুগ ধরে। কখনো কখনো সময়ের প্রয়োজনে বদলেছে সাংস্কৃতিক চর্চার শরীর। কিন্তু জারি-সারি ভাটিয়ালির সুর কেউ পাল্টাতে পারিনি। তার নিজস্ব সুর চলেছে আগামীর দিকে।


২০২৫ সালের সাংস্কৃতিক সুর থাকবে ছন্দে ছন্দে। যে ছন্দের মধ্যে কখনো বিরাজমান—যাত্রা, নাটক, নাচ, গান, আবৃত্তি, কবিতা, বাউলের কণ্ঠ থেকে ভেসে আসবে বাংলার মাটির সোঁদা গন্ধের কথা। ২০২৫ শুরু হোক সত্য ভাষণ দিয়ে। সত্য হোক সাংস্কৃতিক চর্চার।


যদি আলাদা করে সাংস্কৃতিক চর্চার কথা বলা হয় তবে বলব যাত্রার কথা—যাত্রাশিল্পকে সুন্দর করে ঢেলে সাজাতে হবে। ইতিমধ্যে যাত্রা নিয়ে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালাকে কেন্দ্র করে শুরু করলে কতটুকু আসার পথ দেখা যাবে তা ভাববার বিষয়।



তবে যাত্রার মানুষদের নিয়ে একটা আলোচনা করা যেতেই পারে। আর এই আলোচনার মধ্যমণি হতে হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে। বছরের শুরুতেই একটা পরিকল্পনা করতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার যাত্রাশিল্পীদের নিয়ে যাত্রাপালা করা হবে এবং কী কী যাত্রাপালা হবে, যাত্রার দল স্থানীয় হবে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে আসবে সবই পরিকল্পনায় থাকবে। যাত্রার পরিবেশ হতে হবে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল, যাত্রা করার জন্য বড় অর্থের বাজেট নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।


এখানে একটা কথা বলে রাখতে হয় যে—যাত্রাশিল্পীরা শীত মৌসুমেই যাত্রার অভিনয় করে সারা বছরের খাদ্য, সংসার খরচ সংগ্রহ করে থাকে। ফলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই যাত্রা শিল্পকে নিয়ে সুন্দর একটা পরিকল্পনা করতে এগিয়ে আসতে হবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে।


এবার বলি মঞ্চনাটক, পথনাটক, শ্রুতি নাটক, টেলিভিশন নাটক, রেডিও নাটক, এনজিও নাটক ইত্যাদির কথা। প্রতিটি বিষয়ে তাদের নিজস্ব সংগঠন, প্রতিষ্ঠান আছে। সেইসব প্রতিষ্ঠান সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাইরে নয় এমনকি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির দায়বদ্ধতাও অনেক।


সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, পথনাটক পরিষদ, আবৃত্তির সমন্বয় পরিষদ, সাংস্কৃতিক জোট,  আরও আরও....। আমি বা আমরা ২০২৫ সালের নাট্যচর্চা নিয়ে একটা সুন্দর পরিকল্পনা আশা করি। সময়ের দাবিতে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্তি নাট্যদলগুলোর প্রযোজনার নামগুলো, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনকে সরবরাহ করবে, এমনকি প্রতিটি বিভাগে, জেলায় কবে, কখন, কোন নাটক হবে সেটাও একটা খসড়া দেওয়া যেতে পারে। 


সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে অর্থের বাজেট দেওয়া হয় তাও সঠিকভাবে বণ্টন করতে হবে এবং তার একটি হিসাব খাত ফেডারেশনকে দিতে হবে—যা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের হিসাবের খাতায় সংরক্ষণ করা থাকবে এবং প্রতিটি নাটক ক্যামেরায় ধারণ করে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। আর সেইসব নাটক নিয়ে একটা আর্কাইভ তৈরি করা যায়, যাতে আগামী প্রজন্ম জানতে পারে বাংলাদেশের নাটক সময়ের প্রয়োজনে কী কী করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও