গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম উপায় নির্বাচন
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে। জনকল্যাণে সব ধরনের অসংযত আচার-আচরণ, জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, দখল-চাঁদাবাজি পরিহার করে নেতারা দলকে সুসংহত করার সতর্কবার্তা দিয়েছেন। জনগণ অধির আগ্রহে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার প্রতীক্ষায় আছে।
সংবিধান অনুযায়ী সুচারুরূপে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। নির্বাচন কমিশন যথাযথ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে, এটিই কাম্য। কমিশনের ক্ষমতাই নির্বাচন পরিচালনার অন্যতম নিয়ামক। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকে সরকারের রুটিন দায়িত্ব পালন ছাড়া নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কাঙ্ক্ষিত নয়। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই যথাযথ আইনি কাঠামোয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচন, সরকার গঠন একটি স্বাভাবিক পরিক্রমা। জনগণের সমর্থনের প্রতি পূর্ণাঙ্গ আস্থার ভিত্তিতে ঘোষিত রায়ে ফলাফল গ্রহণ এবং তদানুসারে রাষ্ট্র পরিচালনায় পরিপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান প্রত্যেক নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য।