You have reached your daily news limit

Please log in to continue


দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন রাজনীতির আকাঙ্ক্ষা ও কূটনীতির টানাপোড়েন

যেকোনো গণ–অভ্যুত্থান লম্বা এক অস্থিরতার কাল নিয়ে আসে। নতুন বছরে জুলাই আন্দোলনের পাঁচ মাস পূর্তির সময়ও বাংলাদেশ সেই অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার ভেতর দিয়েই যাচ্ছে। হয়তো এ পথের আরও ক্ষতবিক্ষত অংশ দেখা বাকি। একই ধরনের অবস্থার ছাপ আছে আশপাশের অনেক দেশে। আবার অনেক জনপদে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কলাকৌশল ও আকাঙ্ক্ষার ছাপ পড়ছে।

বাংলাদেশর মতোই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সন্ধানে আছে এ মুহূর্তে প্রতিবেশী মিয়ানমার, বিশেষভাবে আরাকান। পশ্চিমবঙ্গও মৃদুপায়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পথে হাঁটছে। মণিপুরের সহিংসতা মিজোরামকে জাতিগতভাবে আন্দোলিত করছে। মণিপুর, মিজোরামসহ আশপাশের জাতিগুলো নতুন প্রশাসনিক বন্দোবস্ত চাইছে।

কাছের অবস্থা ছাড়িয়ে দূরে চোখ ফেরালেও তেমনই দেখা যায়। নেপালে মাওবাদীদের উত্থান রাজনৈতিক কাঠামোয় যে নাড়া দিয়েছিল, সে অবস্থা এখনো থিতু হয়নি। পাশের দুই বড় প্রতিবেশীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ছাপ কাঠমান্ডুর রাজনীতির মেরুকরণে এখনো বেশ নজর কাড়ে।

শ্রীলঙ্কায় গণ–অভ্যুত্থান রাজপক্ষেদের হটিয়ে দিলেও রাষ্ট্রের ঔপনিবেশিক ধরন পাল্টানোর পথ খুঁজছে। চীন-ভারতের ছায়া এখনো এড়াতে পারছে না মালদ্বীপ। বেলুচিস্তান ও সীমান্ত প্রদেশকে ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান। তুমুল সংঘাত বেধেছে তাদের সঙ্গে পাশের আফগান পশতুদের।

সম্ভাবনার হাতছানি চট্টগ্রামের দিকে

বাংলাদেশের গণ–অভ্যুত্থানের সিদ্ধান্তসূচক দিনটি গত ৬ আগস্টের বদলে ৫ আগস্ট কেন এগিয়ে আনা হয়েছিল, সেটা ঢাকায় এখনো ভালো করে জানাজানি হয়নি বলেই মনে হয়। মজার ব্যাপার হলো, এই অভ্যুত্থানের ভূরাজনৈতিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখে আরাকানিরা বাধ্য হয়েছিল তাদের গেরিলা ‘টাইম-লাইন’ লক্ষ্য এগিয়ে আনতে। কারণ, ৫ আগস্টের পরপরই গণচীন মিয়ানমারে তার এত দিনের কৌশল অনেক পাল্টে ফেলেছিল।

২০২৫ সালে আরাকান ও চিন প্রদেশ ক্রমে যত বেশি স্বায়ত্তশাসিত চেহারা নেবে, তত বাংলাদেশ দেখবে দক্ষিণ-পূর্বে সম্পূর্ণ নতুন কয়েক জনপদের সঙ্গে তাকে সম্পর্ক গড়ার বন্দোবস্তে নামতে হচ্ছে। ঢাকায় বুদ্ধিমত্তা ও স্থিরতার কাল এলে সহজেই ক্যাম্প ভিক্টোরিয়া, আইজল ও আকিয়াব চট্টগ্রামের নতুন দিগন্ত হয়ে উঠতে পারে। মণিপুর দাঙ্গার স্থায়িত্ব যত বাড়ছে, তত দক্ষিণ-পূর্বের জনপদগুলো অপার এক সম্ভাবনার আকুতি নিয়ে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে।

গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত মিয়ানমারে আরও নাটকীয় কোনো অবস্থা বাংলাদেশের সামনে ‘অভিভাবকসুলভ’ ভূমিকার দাবি নিয়ে হাজির হতে পারে নতুন বছরে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের খোঁজে ব্যস্ত থাকা ঢাকার নীতিনির্ধারক ভরকেন্দ্রগুলো তার জন্য কতটা প্রস্তুত, সে প্রশ্নও আছে। ভূরাজনীতিতে সম্ভাবনা হাতের মুঠোয় নিতে না পারলে সেটা ঝুঁকিতে পরিণত হয়।

পশ্চিমবঙ্গ-আসাম-ত্রিপুরায় বাংলাদেশবিদ্বেষের বাড়বাড়ন্ত

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-আরএসএসের উত্থান নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের জন্য সতর্ক প্রস্তুতি দাবি করছে। আর ১৪-১৫ মাস পর পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হবে। পরের দুই বছরে হবে আসাম ও ত্রিপুরায়। বাংলাদেশের গণ–অভ্যুত্থানকে ঘিরে আরএসএস-বিজেপির প্রচারযুদ্ধ মূলত এই তিন নির্বাচনকে লক্ষ্য করেই।

এর ভেতর পশ্চিমবঙ্গ দখল বিজেপির জন্য দিল্লি দখলের পরই দ্বিতীয় গুরুত্বের টার্গেট। গত বিধানসভা নির্বাচনে তারা ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল এখানে, যা আগের নির্বাচনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। ২০১৬ সালে তারা এখানে ৩টি আসন পায়। ২০২১ সালে পায় ৭৭টি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে ব্যবহার করে আসন ও ভোট বৃদ্ধির এই গতিকে ভবিষ্যতে রীতিমতো ঝড়ে পরিণত করতে চায় বিজেপি। ঢাকা থেকে অনেকে বুঝে, না-বুঝে বিজেপির ‘গেম প্ল্যানে’ ইতিমধ্যে যথেষ্ট জ্বালানি জুগিয়ে দিয়েছেন।

‘মিনি বাংলাদেশ’ বলে কথিত সেন্ট্রাল কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের মার্কেটগুলোর ফাঁকা ফাঁকা দশায় বাংলাদেশে অনেকেই উল্লসিত। তাঁরা এটা হয়তো খেয়াল করছেন না, দুই দিকে যেভাবে ভীতি ও ঘৃণার জাগরণ ঘটানোর প্রকল্পগুলো কাজ করছে, তাতে ভবিষ্যতের ঝামেলার আগুন পোড়াবে অনেক কিছু।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন