ঐকমত্য বাড়িয়ে নির্বাচন অর্জনের বছর

যুগান্তর হাসান মামুন প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৮

একটি চরম স্বেচ্ছাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে এদেশের মানুষ এক নতুন পথে যাত্রা করেছে গত বছরের ৫ আগস্ট। পথটা একেবারে নতুন, তাও বলা যাবে না। ১৯৭১, এমনকি ১৯৯০ সালেও মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-আন্দোলনে জয়ী হয়ে মানুষ যাত্রা করেছিল গণতন্ত্র ও সুশাসনের পথে। সে অভিজ্ঞতা অবশ্য সুখকর হয়নি। গণতন্ত্র যদি হয়ে থাকে এদেশের মানুষের ন্যূনতম প্রত্যাশা, সেটিও পূরণ হয়নি। স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দলটি এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না। অথচ তার কাছেই ছিল সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা; তাদের দায়িত্বই ছিল বেশি। দ্বিতীয় দফায় চব্বিশে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে একটি নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানে। গণ-অভ্যুত্থানকারীদের ইচ্ছায় একটি অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ পরিচালনা করছে।



নতুন বছর এসে গেছে এর মধ্যে। নতুন সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হতেও বেশি দেরি নেই। এ সরকারের মেয়াদ অবশ্য সুনির্দিষ্ট নয়; যদিও দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট। সেটি হলো-প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোয় সংস্কার এনে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়া। এর কোনোরকম বিকল্পের কথা কল্পনাও করা যাবে না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পরিহার করে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের দিকে যেতে পারব না আমরা। হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে সেটাই কিন্তু বিরামহীনভাবে করা হয়েছিল, যা ছিল জাতির সঙ্গে অপরাধ। ‘উন্নয়নের’ নামেই আবার করা হচ্ছিল সবকিছু, যা ছিল একধরনের তামাশা। ২০৪১ সাল অবধি এটা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ছাত্র-শ্রমিক-জনতা অকাতরে বুকের রক্ত ঢেলে তা বানচাল করে দিয়েছে। জুলাই-আগস্টে তারা রাজপথে নেমেছিল অব্যাহত আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধেও। মানুষ দেখতে পাচ্ছিল, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’সহ বাহারি স্লোগানের আড়ালে দেশটি লুট হয়ে যাচ্ছে। যেসব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এ প্রক্রিয়া রুখে দিতে সক্ষম বলে মনে করা হয়, সেগুলোর পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞও চূড়ান্ত হতাশ করেছিল তাদের।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও