১৯৭৭–২০২৪: বোয়িং নির্মিত উড়োজাহাজের যত মারাত্মক দুর্ঘটনা
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমান, দুর্ঘটনা এতটাই ভয়াবহ যে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মুয়ান বিমানবন্দরে যে উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে সেটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্কিন কোম্পানি বোয়িং। এই প্রথম নয় যে, বোয়িং নির্মিত উড়োজাহাজ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পতিত হলো। এর আগেও বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় পড়ার রেকর্ড আছে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজের।
জাকার্তায় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স দুর্ঘটনা: ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের পর মাত্র ১৩ মিনিটে লায়ন এয়ারের ফ্লাইট ৬১০ সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়। ২০১৮ সালে সংঘটিত এই দুর্ঘটনায় ৮৯ জন নিহত হন। তদন্তে দেখা যায়, উড়োজাহাজের অ্যান্টি-স্টল সিস্টেম (এমসিএএস) ভুলভাবে সক্রিয় হয়ে গিয়েছিল, যা উড়োজাহাজটিকে নিচের দিকে টেনে নেয়।
পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৩০২ ইথিওপিয়া থেকে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি যাওয়ার পথে উড্ডয়নের ৬ মিনিট পর বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৫৭ জন নিহত হন। এই দুর্ঘটনার কারণও ছিল একই এমসিএএস সফটওয়্যারের ত্রুটি।
এই দুটি দুর্ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স সিরিজের সব উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করা হয় এবং বোয়িং বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে।