রেলে টাকা দিচ্ছে না ভারত, ৫ প্রকল্পে অনিশ্চয়তা
লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি), অর্থাৎ ঋণপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাঁচ প্রকল্পে ভারতীয় অর্থায়ন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকমতো ঋণের অর্থ না পাওয়ায় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তিনটি প্রকল্প শুরুই হয়নি। একটি প্রকল্পের কাজ পাঁচবার মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি। থমকে যাওয়া অন্যটি নিজস্ব অর্থায়নেই করার কথা ভাবছে রেলওয়ে।
ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা শেখ হাসিনার পতনের পর এসব প্রকল্পের কাজে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। ৫ আগস্টের পর প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে টানাপোড়েনের জেরে কয়েকটি প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদার নিজ দেশে চলে যান। রেলসূত্র বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের রেলপথ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এগুলোসহ রেলের বিভিন্ন প্রকল্প গুরুত্বসহকারে দেখছেন। তবে ইতিমধ্যে কয়েকবার আলোচনা হলেও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
ভারতীয় ঋণের আওতায় রেলের মোট প্রকল্প ছয়টি। এর মধ্যে গত ১০ বছরে আলোর মুখ দেখেছে শুধু খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্প। দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে রংপুরের কাউনিয়া রেলপথ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি। সার্বিক অগ্রগতি মাত্র শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। খুলনা-দর্শনা রেলপথ নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথের কাজের অগ্রগতি ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ। কাজ চলমান ঢাকা-টঙ্গী ডাবল লাইন ও কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ প্রকল্পের। প্রকল্পগুলোর মোট আর্থিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা।
এলওসি ঋণের শর্তে বলা হয়েছিল, প্রকল্পগুলোর ৭৫ শতাংশ অর্থায়নই হবে ভারত থেকে। বাকি ২৫ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ। ভারতীয় ঋণের পুরো অর্থ দেবে দেশটির এক্সিম ব্যাংক। চুক্তি অনুসারে প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ পণ্য-সেবাই ভারত থেকে আমদানি করতে হবে।
এলওসি অর্থাৎ লাইন অব ক্রেডিট হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের ঋণের ব্যবস্থা। নমনীয়তা এই ঋণের একটি সুবিধার দিক। সম্ভাব্য অসুবিধার মধ্যে রয়েছে সুদের উঁচুহার ও অতিরিক্ত ব্যয়ের আশঙ্কা।