সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিএনপির দোনোমনা কেন
দেশে এখন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার তার আরাধ্য কাজ শেষ করে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেবে। ক্ষমতাপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলো একটি নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে।
অনেক দিন ধরেই জন-আলোচনায় আছে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’। ৫৩ বছর ধরে দেশে চলে এসেছে এক ব্যক্তির শাসন। ব্যক্তিকেন্দ্রিক পরিবার ও গোষ্ঠীগুলো পালাক্রমে আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে ছিল। আমরা সেখান থেকে পরিত্রাণ চেয়েছি। এ বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে ৫ আগস্ট ঘটে গেছে এক অভূতপূর্ব পালাবদল। আমরা বলছি, আমরা আগের অবস্থায় আর ফিরে যেতে চাই না। আমরা একটা ‘রিসেট বাটন’ টিপে অতীতের রাজনৈতিক ধারার সঙ্গে ছেদ ঘটিয়েছি। আমরা একটা বৈষম্যহীন নতুন সমাজ গড়তে চাই। এ জন্য চাই নতুন ধারার রাজনীতি।
প্রশ্ন হলো, পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলো কি নতুন ধারার রাজনীতি গ্রহণ করবে? তারা কি রিসেট বাটন টিপে অতীতের চিন্তাভাবনা থেকে সরে আসবে? যদি না আসে, তাহলে নতুন সমাজের আকাঙ্ক্ষা তারা কীভাবে ধারণ করবে?