মসনদ থেকে কাঠগড়ায়

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫২

ঢাকা: ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় একটি বছর পার করেছে বাংলাদেশ। রক্তাক্ত এক অধ্যায় পার করে অবসান মিলেছে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার।


ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের পর বদলে গেছে দেশের প্রেক্ষাপট। দোর্দণ্ড প্রতাপের সঙ্গে শাসন চালানো আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা শুধু ক্ষমতার মসনদ হারায়নি, হাজার হাজার নিরীহ মানুষ হত্যার অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে এখন বিচারের কাঠগড়ায় রয়েছেন। অপরদিকে অন্যায় শাসনের শিকার হয়ে যাদের বিচারের নামে দীর্ঘদিন হয়রানি করা হয়েছে, নিষ্কৃতি মিলছে তাদের। বিদায়ী বছরে তাই রাজনীতির এই পটপরিবর্তনের সঙ্গে সরগরম ছিল আদালতও। ঢাকার অধস্তন আদালতে ঘটে যাওয়া বছরের সেসব কিছু আলোচিত ঘটনা নিয়েই এই আয়োজন।


শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের সাজা, অতঃপর খালাস


বিদায়ী বছরের প্রথম দিনেই ঢাকার শ্রম আদালতে একটি বিতর্কিত রায় হয়। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল জয়ী ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। তবে ওইদিনই আপিলের শর্তে জামিন পাওয়ায় কারাগারে যেতে হয়নি তাকে। দণ্ডিত অন্যরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিলেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ শ্রম বিধিমালা ১০৭ বিধি ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে সেই রায়ের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসসহ দণ্ডিতরা শ্রম অ্যাপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ৭ আগস্ট শ্রম আপিল আদালতের বিচারক এম. এ. আউয়াল তাদের খালাস দেন।


আরেক মামলায় অভিযুক্ত ইউনূস


গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের দাবি পূরণ করা সংক্রান্ত ইস্যুতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম ও সাবেক এমডি আশরাফুল হাসানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর গত ৩ মার্চ ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ড. ইউনূস। গত ৬ জুন এই মামলায় তাদের বিচার শুরু হয়। বর্তমানে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামিপক্ষের করা আবেদনের বিষয়ে আপিল বিভাগে মামলাটি শুনানির জন্য এখনো অপেক্ষমাণ। এ মামলার শুনানিকালে লোহার খাঁচায় দাঁড়ানো নিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস। গত ১২ ‍জুন তিনি আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমি সারাক্ষণই খাঁচার ভিতরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত একজন ব্যক্তি নির্দোষ। নিরপরাধ নাগরিককে কেন পশুর মতো খাঁচার ভিতরে দাঁড়াতে হবে। এটা খুবই অপমানজনক। সবাই মিলে আওয়াজ তুলুন, একটা সভ্য দেশে কেন এমন হবে? যারা আইনজ্ঞ তারা চিন্তা ভাবনা করে দেখবেন, এটা চলবে নাকি সারা দুনিয়ায় সভ্য দেশে যেভাবে চলে সেভাবে চলবে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও