কাটা-ছেঁড়া ছাড়ছে না ড্যাপকে
এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব বিন্যাস, নগরজীবন রেখা, ট্রানজিটভিত্তিক উন্নয়ন, নাগরিক সুযোগ-সুবিধার মানদণ্ড প্রণয়ন, ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন ও উন্নয়ন স্বত্ব বিনিময়— সবমিলিয়ে রাজধানী ঢাকার সমস্যাগুলো কমিয়ে পরিকল্পিত শহর গড়ার লক্ষ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছিল ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট।
ড্যাপ অনুমোদনের আগেও ছিল দীর্ঘ অপেক্ষা, বারবার সেখানে পরিবর্তন আনা হয়। পরে রাজউকের এখতিয়ারভুক্ত এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য ঢাকা মহানগর এলাকায় ড্যাপের (২০১৬–২০৩৫) খসড়া ২০২০ সালে প্রকাশ করা হয়। এরপর খসড়ার ওপর সুপারিশ ও আপত্তি দাখিল করার জন্য সবার কাছে আহ্বান জানানো হয়। পরে আপত্তি ও সুপারিশ বিবেচনা করে মহাপরিকল্পনাটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
ড্যাপে জনঘনত্ব ও অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে ভবনের উচ্চতা বেঁধে দেওয়া হয়। এ জন্য বিভিন্ন মহল, বিশেষ করে স্থপতি ও আবাসন ব্যবসায়ীরা বেঁকে বসেন। শুরু হয় ড্যাপের নানা সংশোধন। আগে প্রশস্ত রাস্তা না থাকলেও ৮/১০ তলা ভবন করা যেত। কিন্তু গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর ড্যাপে সেই সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অপ্রশস্ত রাস্তার ক্ষেত্রে ৪/৫ তলা ভবন নির্মাণের বিধান রাখা হয়। এতে জমির মালিক, হাউজিং প্রতিষ্ঠান, ডেভেলপারদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। বছর ঘুরতেই ড্যাপে ভবনের উচ্চতা নিয়ে ফের ইউটার্ন নেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বর্তমানে আবারও ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে কাটা-ছেঁড়া ছাড়ছে না ড্যাপকে।