প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহ রূপ
২৬ ডিসেম্বর ২০০৪, ভোর ৬টা। আমি তখন হাতিয়ার ওসখালীস্থ (উপজেলা সদর) রেড ক্রিসেন্ট অফিস কম্পাউন্ডের পুকুর ঘাটে বসে শীতের শিশির ভেজা ভোর উপভোগ করছি। হঠাৎ লক্ষ করলাম, পুকুরে পানি মৃদু ঢেউ আকারে পাড়ে আঘাত করছে, যদিও শীতের সেই সকালে বাতাস বা প্রতিকূল আবহাওয়া কোনোটাই ছিল না। একটু পরেই হাতিয়ায় আমাদের অফিসার মোবাইলে বলল, স্যার ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি হয়েছে। আমি তখন অনুধাবন করলাম শান্ত পুকুরের হঠাৎ অশান্ত হওয়ার কারণ। এরপর যতই সময় ও দিন গড়ায়, ক্রমশ জানতে পারি ইতিহাসের সেই মহাদুর্যোগের ভয়াবহতা ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতার খবর।
প্রসঙ্গত, সমুদ্রে বড় ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হলে পানি উপচে তীব্র গতির ঢেউ সৃষ্টি হয়, সেটাই সুনামি, যা প্রবল বেগে উপকূলের দিকে ধেয়ে যায়। ২৬ ডিসেম্বর সংঘটিত সুনামির সূত্রপাত ছিল ভারত মহাসাগরে সকাল ৫.৫৮টায় সংঘটিত ৯.২ মাত্রার উচ্চ শক্তির ভূমিকম্প। এর কেন্দ্র (এপিসেন্টার) ছিল উত্তর সুমাত্রা সমুদ্র উপকূল থেকে ১৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে; সমুদ্রপৃষ্ঠের ৩০ কিলোমিটার গভীরে ইন্ডিয়ান ও মিয়ানমার প্লেটের সংঘর্ষজনিত কারণে এর সূত্রপাত।
- ট্যাগ:
- মতামত
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ