মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : ফিরে দেখা

যুগান্তর মোহাম্মদ আবদুল মাননান প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৪

বছর দশেক আগে একটি দৈনিকের জন্য দুখানা নিবন্ধ লিখেছিলাম, দুটোই রাজধানীর চিত্র নিয়ে; একটি ‘সরকারি খাতে রাজধানীর শিক্ষাব্যবস্থা’, অপরটি ‘রাজধানীতে চিকিৎসা সংকট’ নিয়ে। সেই সময়ে পরপর তিন বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণে সরকারি আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনামূলক বিবরণ দেখিয়েছিলাম।


সরকারি সেক্টরের জন্য সেটি মোটেই সুখপ্রদ ছিল না-দশ বছর পরও সেই দশার পরিবর্তন ঘটেনি। তবে সেই বিবরণ ছিল কেবল রাজধানীর। এ লেখা কেবল রাজধানীর শিক্ষা নিয়ে নয়, বলাই বাহুল্য।


এ সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে নানা কথাই আছে। মধ্যখানে করোনায় প্রায় দুটি বছর পড়ুয়াদের জীবন থেকে হাওয়াই হয়ে গেল; যে ধকল এখনো শিক্ষাব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি যায়নি। বিশাল ক্ষতি হয়ে গেছে সব স্তরের পড়ুয়াদের। করোনার আগের কথাতেই ফিরে যাই। দীর্ঘদিন বাম আন্দোলন করা নাহিদ সাহেবের সময়ে পরীক্ষার হলে নকল ফিরে এসেছে, সেটা কেউ বলছে না। সেটার দরকারও ছিল না। কেন ছিল না; সেটা নিয়ে কথা হবেই। পাইকারি হারে এ প্লাস আর গোল্ডেন পাওয়ার জন্য নুরুল ইসলাম নাহিদ হয়তো অমর হয়েও থাকবেন। সে সময়ে ফেল করার সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে অবিশ্বাস্য হারে-হয়তো এভাবেই নকলপ্রবণতা কমে গেছে। কিন্তু এসএসসি-এইচএসসিতে এ ধরনের তেল-ঘিয়ের দাম সমান করায় যা ঘটার তা ঘটে গেছে। ভালো আর মন্দে বিশেষ পার্থক্য থাকল না জীবনের দুটো বোর্ড পরীক্ষায়। পরীক্ষক যথাযথ মূল্যায়ন করার পরও ডেকে ডেকে নম্বর বাড়িয়ে এ প্লাস আর গোল্ডেনের পাহাড় রচনা করা হয়েছে : অনেক ক্ষেত্রেই খাতা মূল্যায়নের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি-দ্রুত ফলাফল দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার নেশায়। এতে আর যাই-ই হোক বিদ্যালয়-কলেজে পড়তে হয়নি, পড়াতে হয়নি। নির্বিবাদে আর তলে তলে ধস নেমেছে গোটা শিক্ষাঙ্গনে। পিছিয়ে নেই ডিগ্রি কলেজগুলো। পদার্থ বিদ্যার সম্মান শ্রেণিতে গড় হাজির নব্বই ভাগ, অনুপস্থিত ব্যাবহারিক পরীক্ষাতেও-কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে প্রথম শ্রেণি দিয়ে বসে আছে আর এ উদাহরণ এক-দুটো নয়। সেই নামি কলেজের শিক্ষকদের প্রশ্ন-বিস্ময়, ফলাফল কি বিক্রি হয়! দুদিন আগে জেনেছি, একজন শিক্ষক সমাজকল্যাণ অনার্সের আট হাজার খাতা মূল্যায়নের জন্য পেয়েছে, সময় তিন মাস-পেজ গুনে নম্বর দেওয়া ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কিছুই বাকি রাখেনি। এসব করেও চার বছরের অনার্স চার বছরে শেষ করতে পারছে না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-যদিও এ কাজের জন্যই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্ম; মনে হয়, জন্মের কারণই ভুলে গেছে তারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও