![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2023-09%252F52c7e108-a7e6-4058-a440-c5104fdb0af9%252FIMG_1420_2.jpg%3Fauto%3Dformat%252Ccompress%26fmt%3Dwebp%26format%3Dwebp%26w%3D640%26dpr%3D0.9)
ডায়াবেটিসের রোগীর পিঠাপুলি খাওয়া
শীত মানেই হরেক রকমের পিঠাপুলি। এ সময় দেশের একেক অঞ্চলে একেক রকম পিঠা খাওয়া হয়। শীত এলে আজকাল শহরের আনাচকানাচে, সুপারমলের পাশাপাশি হোম সার্ভিসেও পিঠা পাওয়া যায়। হয় পিঠা উৎসবও।
মূলত এসব পিঠার উপকরণ হিসেবে থাকে সুগন্ধি চালের গুঁড়া, গুড়, দুধ, নারকেল, তেল, ঘি ইত্যাদি। অর্থাৎ পুষ্টিগুণে ভরপুর এসব পিঠা। সাধারণত পিঠায় কোনো প্রিজারভেটিভ, টেস্টিং সল্ট, বেকিং পাউডার, ট্রান্সফ্যাট—কিছুই থাকে না বলে বিদেশি ডেজার্ট বা কেকের তুলনায় পিঠা বেশি স্বাস্থ্যকর। তবে এগুলো ক্যালরিসমৃদ্ধ ও শর্করাবহুল।
প্রায় সব পিঠার উপকরণেই আতপ চালের গুঁড়া থাকে। এতে আছে প্রচুর শর্করা, কিছু প্রোটিন আর সামান্য ফ্যাট। এতে থাকা শর্করা শরীরে শক্তি জোগায়। আবার গুড় খনিজ, আঁশ, ক্যালরি, ভিটামিনের ভালো উৎস। খেজুর ও আখের গুড়—দুটিই বেশ উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রামে থাকে প্রায় ১৫৮ ক্যালরি।
নারকেল পিঠার আরেকটি বড় উপাদান। একটি মাঝারি আকারের নারকেলে থাকে ১ হাজার ৪০৫ ক্যালরি, পানি থাকে প্রায় ১৫০ মিলিলিটার। খনিজেরও ভালো উৎস এটি।
দুধ পিঠার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতি ১০০ গ্রাম দুধে ৬৭ কিলোক্যালরি শক্তি থাকে। প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকে প্রচুর।
প্রায় সব ধরনের পিঠাতেই ৯০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ৮০ শতাংশ প্রোটিন আর ২ শতাংশ ফ্যাট থাকে। শর্করা বেশি থাকায় শরীরে শক্তির চাহিদা মেটায়। সাদা চালের গুঁড়া ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ইত্যাদির ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- ডায়াবেটিস রোগী
- শীতের পিঠা