চুল গজানোর গতি কমিয়ে দেয় ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’
ওজন দ্রুত কমানোর জনপ্রিয় ডায়েট ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয় এই ডায়েটে। এর ফলে শক্তির জন্য চর্বি পোড়াতে শুরু করে শরীর এবং ওজন কমতে শুরু করে। তবে এই ডায়েটের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এটি চুল গজানোর হার ধীর করে দেয়, ফলে চুলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। এমনকি মাথায় টাকও পড়তে পারে।
জার্নাল ‘সেল’–এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে। গবেষকেরা বলেন, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং চুল গজানোর গতি ধীর করে ফেলে। তারা ইঁদুরদের ওপর এর প্রভাব পরীক্ষা করেন। প্রথমে ইঁদুরের লোমগুলো ফেলে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শিডিউলের আওতায় রাখা হয়। কিছু ইঁদুরকে একটি সময়সীমায় আবদ্ধ খাওয়ার (টিআরএফ) শিডিউলে রাখা হয়। এই শিডিউলে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা খাওয়ার সুযোগ দেয় এবং ১৬ ঘণ্টা অভুক্ত রাখা হয়। অন্যদিকে কিছু ইঁদুরকে প্রতিদিন বিরতি দিয়ে খাবার দেওয়া (এডিএফ) হয়।
গবেষকেরা দেখেন, এই ডায়েটে থাকা ইঁদুরদের চুল আংশিকভাবে গজানোর জন্য ৯৬ দিন সময় লেগেছিল। অপরদিকে স্বাভাবিক ডায়েটে থাকা ইঁদুরদের চুল ৩০ দিনে গজাতে শুরু করে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের ফলে শক্তির উৎস পরিবর্তিত হওয়ায় এই চুলের বৃদ্ধিতে পরিবর্তন ঘটে।
সাধারণ ইঁদুরের তুলনায় এই ইঁদুরগুলোর চুল গজানোর হার কম ছিল। এই গবেষণা পরিচালনা করেন চীনের ওয়েস্টলেক ইউনিভার্সিটির স্টেম সেল বায়োলজিস্ট বিং ঝাং। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং চুলের ফলিকল স্টেম সেল বা কোষগুলোতে (এইচএফসিএস)-কে কীভাবে প্রভাবিত করে, তা ঝাং উন্মোচন করেন।
এই কোষগুলো চুলের গজানোর জন্য দায়ী এবং শক্তির জন্য গ্লুকোজের ওপর নির্ভর করে। যখন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে খাবার গ্রহণ সীমিত থাকে, তখন শরীর গ্লুকোজের পরিবর্তে শক্তির উৎস হিসেবে চর্বি ব্যবহার শুরু করে, ফলে রক্তে ফ্যাটি অ্যাসিড মুক্তি পায়।