নারী অভিবাসনের চালচিত্র

ঢাকা পোষ্ট আসিফ মুনীর প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২৫

আজ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের অধিকার রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদ অনুমোদন করে। সেই থেকে সারা বিশ্বে ১৮ ডিসেম্বর সরকারি, বেসরকারি মহল, অভিবাসীদের সংগঠন নতুন উদ্যমে অভিবাসী অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার করে।


বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সব জাতি, বর্ণ, ধর্ম, ভাষার নারী ও পুরুষ অভিবাসীদের অস্তিত্ব, অধিকার, অবদান স্বীকার ও পালনের মধ্য দিয়ে এই দিবসের তাৎপর্য বৃদ্ধি পায়। ২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো—অভিবাসীদের অবদান ও অধিকারকে সম্মান করা।


বাংলাদেশেও সরকার এবং বিভিন্ন সংগঠন এই দিবসটি পালন করছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করছে। একই সাথে বিগত কয়েক বছর ধরে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। এই দুইটি দিবসের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরকারিভাবে প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে—প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গিকার; বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার।


অভিবাসী অধিকার রক্ষার সংকট ও সমাধান নানা মুখী। সুষ্ঠু, নিরাপদ, সম্মানজনক অভিবাসনের জন্য বছরব্যাপী এবং বছরের পর বছর কর্ম পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন দরকার। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে সেসব কর্মকাণ্ডে অভিবাসী অধিকার অর্জনে অগ্রগতি কত দূর, সেটা মিলিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে।



বাংলাদেশ সরকার, বেসরকারি সংগঠন, রিক্রুটিং এজেন্সি, ট্রেড ইউনিয়ন—সবারই বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান। তবে প্রয়োজন ও আশার তুলনায় অগ্রগতি যথেষ্ট নয়, তাই অনেকদিন ধরেই একই ধরনের সংকট ও পরামর্শ দেখা যায়। বিশেষ করে নারী অভিবাসনের প্রক্রিয়া ও সুফলের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ যেমন জটিল, তেমনি সমাধানের অগ্রগতিও সামগ্রিক বিবেচনায় তুলনামূলকভাবে কম। 


অভিবাসন প্রক্রিয়ায় নারীদের যে বিশেষ সংকট ও সেজন্য করণীয় নিয়ে বর্তমান আলোচনার একটি বিশেষ তাৎপর্য আছে। প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা রোধে ১৬ দিনের সচেতনতা। এছাড়া ২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ এবং ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়। ২০২৪ সালে ১৬ দিনের সচেতনতার জন্য মূল প্রতিপাদ্য করা হয়েছিল—নারী, কিশোরী ও কন্যা শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান।


আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবসের জন্য তাই নারী অভিবাসনের বর্তমান অবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছি। বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী অভিবাসী গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। জর্ডান ও ওমানে গৃহকর্মের পাশাপাশি পোশাক শিল্পেও বাংলাদেশি নারী অভিবাসী কর্মী আছেন। এছাড়া লেবানন ও লিবিয়াতে হাসপাতালে নার্সিং সেবাতেও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য নারী অভিবাসী কাজ করেন, তবে আভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং যুদ্ধাবস্থার কারণে এই দুই দেশে নারী অভিবাসীসহ সব অভিবাসী কর্মীদের জন্যই থাকা ও কাজ করা বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন বা আসার চেষ্টা করছেন, যদিও দেশেও বিভিন্ন কারণে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।


নারী অভিবাসন ক্ষেত্রে অগ্রগতির মধ্যে রয়েছে, নারী অভিবাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনা খরচে অভিবাসন নিশ্চিত করা। যদিও তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়নি, তবুও পুরুষ অভিবাসনের উচ্চ ব্যয়ের চেয়ে অনেকাংশে কম। এছাড়া গৃহকর্মী হিসেবে অভিবাসন প্রত্যাশী নারী অভিবাসীদের জন্য মাসব্যাপী সরকারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। গৃহকর্মী অভিবাসীদের জন্য একটি মডেল চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করা যায় কিনা, সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ মিলে সেই চেষ্টা চলছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও