অর্থনৈতিক মুক্তি মেলেনি, এখনো সমাজে বৈষম্য
পাকিস্তানের পরাধীনতার শিকল ভেঙে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মূলমন্ত্রই ছিল বৈষম্য, দারিদ্র্য, অভাব, দুর্নীতি আর লুটপাট থেকে মুক্তি। অনেক প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত ওই স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ঘুরেফিরে এই প্রশ্ন উঠছে—বাংলাদেশের মানুষ কি বৈষম্যহীন, সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ পেয়েছে? তাদের কি অর্থনৈতিক মুক্তি হয়েছে? তথ্য-উপাত্ত, সামাজিক-অর্থনৈতিক সূচক বিশ্লেষণে এখনো এর পুরো উত্তর মেলে না। স্বাধীনতার পাঁচ দশকে অনেক খাতেই অগ্রগতি হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে।
শিক্ষা-স্বাস্থ্য, মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নতি আছে সন্দেহ নেই। তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন এখনো অধরা।
দেশি-বিদেশি গবেষণা, তথ্য ও পরিসংখ্যান পর্যালোচনা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ দেশের মানুষ তার নিজের মতো করে ভাগ্য বদলে অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, প্রবাসীসহ সব স্তরের মানুষ যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা সরকারের অপেক্ষায় বসে নেই। কৃষক নিজের মতো করে ফসল ফলাচ্ছেন। মৎস্যজীবী মাছ চাষে সাফল্য এনেছেন। শ্রমিকরা উৎপাদনে নিরলস কাজ করে শিল্পকে এগিয়ে দিচ্ছেন।