বিজয়ের দিনে সাজুন লাল-সবুজে
বিজয় দিবস বাঙালি জাতির কাছে গৌরবময় ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর পালিত হয় বিজয় দিবস। ৩০ লাখ বাঙালির রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। এই ডিসেম্বরেই পাক বাহিনীমুক্ত হয় স্বাধীন এই বাংলা। এ মাসেই বাংলার আকাশে ওড়ানো হয় লাল-সবুজের পতাকা।
প্রতিবছর বিজয় দিবস উদযাপনে তাই তো ছোট-বড় সবাই গায়ে জড়িয়ে নেন লাল-সবুজ পোশাক। বিজয় দিবসের ফ্যাশনে প্রাধান্য পায় লাল আর সবুজ এই দুটি রং। বাঙালি নারীরা এদিন লাল-সবুজ শাড়িতে অনন্যা হয়ে ওঠে। আর পুরুষরা গায়ে জড়িয়ে নেন লাল-সবুজ রঙের পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়া। শিশুরাও এদিন নিজেদেরকে সাজিয়ে তোলে লাল-সবুজ রঙে।
শাড়ি কিংবা কামিজের সঙ্গে বিজয়ের সাজ যেমন হবে-
যারা এদিন বাইরে কাটাবেন তারা অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। মেকআপের আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে স্ক্রাবিং করে নিন প্রথমে। এর কিছুক্ষণ পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন মুখে। মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে ও ত্বক আর্দ্র রাখতে একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এরপর ধাপে ধাপে প্রাইমার, কালার কারেক্টর ও কনসিলার ইত্যাদি লাগিয়ে ভালো করে স্পঞ্জের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিন।
পাঞ্জাবিতে পুরুষের সাজ
বিজয় দিবসে বেশিরভাগ পুরুষই লাল, সবুজ বা লাল-সবুজরঙা পাঞ্জাবি পরেন। আপনিও যদি তাদের কাতারে হন, তাহলে পাঞ্জাবির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরুন পায়জামা। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা পরুন। যদি সারাদিন বাইরে থাকতে চান তাহলে পুরুষরাও মুখে মাখুন সানস্ক্রিন।
শিশুদের সাজ যেমন হবে
কন্যাশিশুদের সাজাতে লাল-সবুজ ফ্রক, শাড়ি কিংবা কামিজ পরাতে পারেন। এর সঙ্গে চুলে লাল-সবুজরঙা ব্যান্ড বা ক্লিপ লাগিয়ে দিতে পারেন। চাইলে মুখে এঁকে দিতে পারেন বিজয় দিবসের আল্পনা। ছেলেশিশুকে এদিন পরাতে পারেন পাঞ্জাবি, ফতুয়া কিংবা শার্ট। এর সঙ্গে মিলিয়ে প্যান্ট ও জুতা পরিয়ে নিন। শিশুর মুখে এঁকে দিতে পারেন বিজয়ের আল্পনা।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- সাজগোজের টিপস
- বিজয় দিবস উদযাপন