মুক্তিযুদ্ধ সর্বোচ্চ গৌরবের, চব্বিশ তার ধারাবাহিকতা
‘আমার সমসাময়িক অনেকেই বেঁচে নেই। কাউকে হারিয়েছি যুদ্ধের ময়দানে। কাউকে হারিয়েছি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে।’—সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে কী মনে হয়েছে, জানতে চাইলে কথাগুলো বলছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) বজলুল গনি পাটোয়ারী।
বজলুল গনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। রণাঙ্গনে সম্মুখসমরে তিনি ছিলেন যুবক। এখন ৮৫ বছরের প্রবীণ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রথম আলোর আয়োজনে ‘একাত্তরের সঙ্গে চব্বিশের কথোপকথন’ শীর্ষক আলাপচারিতায় অংশ নিতে সাভারে যাওয়ার নিমন্ত্রণ পেয়ে তিনি রাজি হলেন সানন্দে। বয়স, শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দেখালেন না।
১১ ডিসেম্বর বুধবার আমরা ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছালাম দুপুর ১২টার দিকে। সঙ্গে চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দুই সংগঠক আরিফুল ইসলাম আদীব ও নাজিফা জান্নাত।
ঠিক কত বছর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়েছেন, তা মনে করতে পারলেন না বজলুল গনি। বললেন, ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে তিনি বসলেন, হাঁটলেন, কথা বললেন, ছবি তুললেন। আর জানালেন মুক্তিযুদ্ধের কথা। কীভাবে তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন, কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলেন, কী স্বপ্ন ছিল—সবকিছুই উঠে এল চব্বিশের দুই সংগঠকের প্রশ্নে। তিনি (বজলুল গনি) জানালেন, তাঁরা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, তা অনেকাংশে পূরণ হয়নি।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- মহান বিজয় দিবস