বুদ্ধিজীবী হত্যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত

যুগান্তর ডা. এম এ হাসান প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪

পাঁচ দিন ও ছয় রাতব্যাপী তীব্র আখাউড়া যুদ্ধে বিজয়ের স্বাক্ষর রেখে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের এক তরুণ অফিসার হিসাবে যখন ডেমরায় শীতালক্ষ্যা নদীর কাছে পৌঁছলাম, তখন ১৩ ডিসেম্বর, ঘুমভাঙা প্রভাত নিশিভাঙা গান গাইছে। হেমন্তের হলুদে ছাওয়া শিশিরসিক্ত ধানখেত, নিস্তব্ধ নদী দেখে বোঝার উপায় নেই কী ভয়াবহ যুদ্ধ চলেছে দেশজুড়ে!


স্মৃতিতে নিরবচ্ছিন্ন গোলাগুলির শব্দের রেশ; বাংকারে বাংকারে ফেলে আসা মৃত সৈনিক ও সহযোদ্ধাদের ক্ষতবিক্ষত দেহ। এর সঙ্গে যুক্ত হলো অবরুদ্ধ ঢাকার ভেতরে মানুষের জীবন নিয়ে শঙ্কা। শঙ্কা ছিল দুটি গ্রুপকে নিয়ে-এর একটি জেনে-বুঝে বাংলাদেশের সীমান্তে ও ভেতরে যুদ্ধ করতে করতে যারা প্রাণ দিচ্ছিলেন, তারা; অপরটি ছিল অবরুদ্ধ দেশে ব্যক্তিগত কারণে ও নানা পরিপ্রেক্ষিতে যারা আটকে ছিলেন, তারা। এ অবরুদ্ধ নগরীতে ছিলেন আমার মা, দুটি বোন ও বাবা। যুদ্ধে ছিলাম আমি, আমার ভাই শহিদ লে. সেলিম এবং কয়েক হাজার সহযোদ্ধা। ওই সহযোদ্ধাদের মধ্যে যারা একেবারে অক্ষরহীন ছিল বা গ্রামের কৃষাণ, তাদের প্রাণের মূল্য শহরে আটকে থাকা বিদ্বজ্জন ও বুদ্ধিজীবীদের চেয়ে কিছু কম ছিল না। উপরন্তু তাদের কেউ কেউ পুরো নয় মাস যুদ্ধ করতে করতে অর্জনের পাল্লা অনেক ভারী করে রেখেছিলেন। আর ভেতরে যারা সাধারণ মানুষ ছিলেন, তারা আমাদের স্বজন হওয়ার কারণে বা দেশের জন্য নিরন্তর ত্যাগের কারণে তাদের প্রাণের মূল্যও কম ছিল না। তাদের মধ্যে ধীরেন দত্ত, রণদাপ্রসাদ ও জিসি দেবের মতো ব্যক্তি, যারা নানা কর্মযজ্ঞের মধ্যে বাঙালির পরিচয় নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন অথবা শিক্ষা, সংস্কৃতি, সেবায় অনন্য হয়ে দেশের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে টিকে ছিলেন, তাদের জীবনের কথা ভেবে শহরের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য আমরা ব্যাকুল হয়ে উঠলাম। আর এ ব্যাকুলতার মাঝে ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর রাতে আমার কমান্ডিং অফিসার জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরীর নির্দেশে এক প্লাটুন সেনাসদস্য নিয়ে আমি যখন বাড্ডা হয়ে গুলশান আক্রমণ করি, তখন কখনো ভাবিনি আমাদের আক্রমণে যে পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে গিয়েছিল, তারা তলে তলে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের ধরে অমন করে হত্যা করতে পারে। হয়তো কাপুরুষ বলেই এটি সম্ভব ছিল, যেমন কাপুরুষ ও নপুংশক বলেই একজন ধর্ষক হয়ে ওঠে অবলীলায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও