জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের ২৮.২৪% বেকার : যুগোপযোগী ও কর্মমুখী শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হোক

bonikbarta.com সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছিল গত শতাব্দীর আশির দশকে। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়—এ তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোর অনার্স ও পাস কোর্সের ওপর তদারকি করত।


কোর্স কারিকুলাম তৈরি করা, কলেজগুলোর নিবন্ধন, শিক্ষক নিয়োগ এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করত এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই। কলেজ ছাড়াও এ বিশ্ববিদ্যালগুলো মেডিকেল কলেজগুলোও দেখভাল করত। সময়ের বিবর্তনে কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল ক্যাম্পাসে নতুন নতুন বিষয় চালুর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় এবং তাদের কাজের পরিধি বাড়তে থাকে। ফলে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাতে গিয়েই হিমশিম খেতে হচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর কলেজ শিক্ষার চাপ কমাতেই একটি অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।


এ চিন্তা থেকেই ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কলেজগুলোকে নিবন্ধনের পাশাপাশি প্রাগ্রসর শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রাগ্রসর শিক্ষার স্বার্থে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি উৎকৃষ্ট গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গবেষণার জন্য ল্যাবরেটরি এবং অন্যান্য গবেষণার জন্য মিউজিয়াম থাকা উচিত। দুর্ভাগ্যের বিষয়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে প্রাগ্রসর শিক্ষার গোড়াপত্তন ও বিকাশের জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শুধু কলেজগুলোকে অ্যাফিলিয়েট (নিবন্ধন) করাই এর কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকে যেনতেন কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করতে দেয়া হয়নি। পরবর্তীকালে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক মানসিকতা থেকে ঢালাওভাবে চালু করা হয়েছে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স। দিন দিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ আছে কিনা সে বিষয়গুলোকে কখনই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া হয়নি।


যেসব কলেজে সুযোগ-সুবিধা তৈরি না করেই অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু ও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় সেসব কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা স্তরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থী যে করেই হোক অনার্স ও মাস্টার্সের সনদ পেলেও সনদের দাবি অনুযায়ী জ্ঞান অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। যুগোপযোগী পাঠ্যক্রমের অভাবে এবং মানসম্মত শিক্ষার অভাবে কলেজগুলো দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেও অনেকেই থাকছেন বেকার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও