মধ্যপ্রাচ্যে চীনের কূটনীতির সীমাবদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে আসাদের পতনে
মাত্র এক বছরেরও একটু বেশি আগে সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ ও তার স্ত্রীকে চীনে ছয় দিনের এক সফরের সময় উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। এ সফরের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার সাবেক নেতাকে ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা ভাঙার বিরল সুযোগ দিয়েছিল বেইজিং।
আসাদ দম্পতি এশিয়ান গেমসের অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা’ করে প্রেসিডেন্ট আসাদকে ও সিরিয়ার পুনর্গঠনের বিষয়ে সমর্থনের প্রত্যয় জানান। চীনের গণমাধ্যম আসাদের স্ত্রী আসমাকে স্বাগত জানিয়ে ও তার প্রশংসা করে নিবন্ধ প্রকাশ করে।
কিন্তু শি-র স্পষ্ট সমর্থন পাওয়া ‘স্বৈরাচারী’ আসাদের আকস্মিক পতন মধ্যপ্রাচ্যে চীনের কূটনৈতিক লক্ষ্যের জন্য একটি আঘাত হয়ে এসেছে এবং এ ঘটনা অঞ্চলটিতে বেইজিংয়ের কৌশলের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেছে বলে মত বিশ্লেষকদের, জানিয়েছে রয়টার্স।
জঙ্গি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বধীন ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের একটি জোট বিদ্যুৎগতির আক্রমণ চালিয়ে রোববার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখল করে নেয় এবং আসাদ সরকারের পতন ঘটায়। এর মাধ্যমে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫০ বছরের রাজত্বের অবসান হয়।
- ট্যাগ:
- আন্তর্জাতিক
- পতন
- স্বৈরশাসক
- বাশার আল আসাদ