‘চাউল বাড়ন্ত’ হলে...
উজ্জয়িনীর সম্রাট ছিলেন বিক্রমাদিত্য। সম্রাট বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভা ছিল। সেই সময়কার বিখ্যাত ৯ জন পণ্ডিত এই সভাকে অলংকৃত করতেন। সম্রাট বিক্রমাদিত্য এই নবরত্নদের আদেশ-উপদেশ মেনে রাজ্য পরিচালনা করতেন। নবরত্নদের মধ্যে ছিলেন অমর সিংহ, কালিদাস, ক্ষপণক, আর্যভট্ট, ধন্বন্তরি, বরাহমিহির, বররুচি, বেতাল ভট্ট ও শঙ্কু। সম্রাট বিক্রমাদিত্য এই নবরত্নদের খুবই সম্মান করতেন, বলতে গেলে রাজ্য চালনার যা কিছু দরকার, সেসবের বুদ্ধি নিতেন নবরত্নদের কাছ থেকে।
এই নবরত্নদের মধ্যে সবচেয়ে চৌকস ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন পণ্ডিত ছিলেন কালিদাস। সম্রাট বিক্রমাদিত্য সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন তাঁকে। কালিদাসের গ্রহণযোগ্যতা যখন তুঙ্গে, কালিদাসের কথা শুনেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্রাট বিক্রমাদিত্য রাজ্য চালানোর সিদ্ধান্ত নিতেন, তখন অন্য আট পণ্ডিত বেশ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়লেন। আট পণ্ডিত নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করলেন—সম্রাট কালিদাসকে এত গুরুত্ব দেন, কালিদাস এতসব প্রত্যুৎপন্নমতি বুদ্ধি কেমন করে সম্রাটকে দেন, সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া আরম্ভ করলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করলেন কালিদাসের ঘরে শুধু মা আছেন, সংসারের কোনো ঝামেলা নেই, কালিদাসের কোনো পিছুটান নেই, শুধু রাজসভায় অংশগ্রহণ করেন এবং বাড়িতে গিয়ে একমনে জ্ঞান সাধনা করতে পারেন। সংসারে মা রান্নাবান্না করে দেন আর কালিদাস জ্ঞান অর্জন করে করে সম্রাটকে বুদ্ধি দেন।