তথ্যের সুরক্ষায় উইন্ডোজের যে ছয়টি প্রাইভেসি সেটিংস পরিবর্তন করা উচিত
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে উইন্ডোজ কম্পিউটার। তবে এটি গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। তাই উইন্ডোজ ডিভাইসে নিজের ডাটা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং গোপনীয়তা রক্ষায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস পরিবর্তন করা জরুরি—
লোকেশন সার্ভিস
উইন্ডোজ ১০ বা ১১ কম্পিউটারের অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান ট্র্যাক করতে পারে। এটি ম্যাপ বা আবহাওয়া অ্যাপের জন্য সহায়ক হলেও অন্য কিছু অ্যাপ ট্র্যাকিংয়ের জন্য এ তথ্য ব্যবহার করতে পারে। যদি কেউ নিজের অবস্থান শেয়ার করতে না চান, তাহলে সহজেই লোকেশন সার্ভিস বন্ধ করা যায়। এজন্য সেটিংস>প্রাইভেসি>অ্যাপ পারমিশনস>লোকেশন এ গিয়ে লোকেশন সার্ভিসেস টগলটি বন্ধ করতে হবে। অথবা এটি চালু রেখে নির্দিষ্ট অ্যাপের জন্য লোকেশন অ্যাকসেস অনুমতি দেয়া বা ব্লক করা যায়।
বিজ্ঞাপন ট্র্যাকিং
প্রতিটি ব্যবহারকারীকে একটি অ্যাডভার্টাইজার আইডি দেয় উইন্ডোজ, যা তাদের অনলাইন কার্যক্রম ট্র্যাক করার জন্য ব্যবহার হয়। মাইক্রোসফট এ তথ্য ব্যবহার করে পার্সোনালাইজড বিজ্ঞাপন দেখায়। বিজ্ঞাপন ট্র্যাকিং বন্ধ করতে সেটিংস>প্রাইভেসি অ্যান্ড সিকিউরিটি>উইন্ডোজ পারমিশনস>জেনারেলে যেতে হবে, এবার ‘লেট অ্যাপস শো মি পার্সোনালাইজড অ্যাডস বাই উইজিং মাই অ্যাডভার্টাইজিং আইডি’ বন্ধ করতে হবে।
এটি শুধু পার্সোনালাইজড বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেবে। অর্থাৎ ব্যবহারকারী বিজ্ঞাপন দেখতে পাবে, কিন্তু তা অনলাইন কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে থাকবে না।
অ্যাক্টিভিটি হিস্ট্রি
উইন্ডোজের অ্যাক্টিভিটি হিস্ট্রি ফিচারটি ডিভাইসে ব্যবহৃত অ্যাপ, খোলা ফাইল ও পরিদর্শিত ওয়েবসাইটগুলো ট্র্যাক করে। কেউ যদি এসব কার্যক্রম রেকর্ড করা নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তবে এটি বন্ধ করতে পারেন।
এজন্য সেটিংস>প্রাইভেসি অ্যান্ড সিকিউরিটি>অ্যাক্টিভিটি হিস্ট্রিতে যেতে হবে। এরপর ‘স্টোর মাই অ্যাক্টিভিটি হিস্ট্রি অন দিস ডিভাইস’ টগলটি বন্ধ করতে হবে। এছাড়া ক্লিয়ার হিস্ট্রি বাটনে ক্লিক করে উইন্ডোজের জমা করা আগের ডাটা মুছে ফেলা যায়।