বদলে ফেলুন দৈনন্দিন অভ্যাস, বয়স হলেও বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না
বয়স একই তবে দেখলে মনে হয় একজন বয়স্ক আরেকজন যুবক। কাউকে দেখলে মনে হয়, যেন বুড়িয়ে গেছেন। কেউ আবার দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছেন, কেউ আবার রোগে জরাগ্রস্ত। কারও চেহারায় বয়সের ছাপ, কারও ত্বকে লাবণ্যের ছোঁয়া। বয়স হলে তার ছাপ চোখ-মুখে পড়বে। তবু একই বয়সের বিভিন্ন মানুষের মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট বোঝা যায়। নানা কারণে এটা হতে পারে। অপুষ্টি, শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা, ত্বকের যত্ন না নেওয়া,পর্যাপ্ত না ঘুমানো, দৈনন্দিন কাজে অনিয়ম ইত্যাদি কারণে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে। তবে কয়েকটি ভালো অভ্যাস যেকোনও মানুষকে বয়স বাড়লেও দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মানুষের শরীর ও মন ভালো থাকলে চেহারায় সেটার প্রতিফলন ঘটে।
নিজের যত্ন নেওয়া
সবাইকে ভালো রাখতে হলে আগে নিজে সুস্থ থাকতে হয় নিজেকে ভালো রাখতে হয়। শরীর, মন, ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। শুধু শরীর ভাল রাখলেই হবে না, মনকেও সুস্থ রাখা প্রয়োজন। অতিরিক্ত অবসাদ, উদ্বেগ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। শরীরেও এর প্রভাব পড়ে। আবার কারও দুঃখ অথবা খুশির ছাপও মুখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই নিজেকে সবল ও কর্মক্ষম রাখতে নিজের যত্ন, ভাল থাকা খুব জরুরি। তবে এই অভ্যাস দীর্ঘ দিন ধরে চালিয়ে গেলে তবেই ফল পাওয়া যাবে। নিয়মিত খেলাধুলা ও শরীরচর্চার পাশাপাশি ধর্মীয়-প্রার্থনা মনকে শান্ত করে। ফলে চেহারার ওপরেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি
অনেকেই বুঝতে পারেন না যে সানস্ক্রিন ঠিক কতটা দরকারি। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম এ নিয়ে সচেতন হলেও, একটু যাদের বয়স হয়েছে, তারা অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবনার অবকাশ পান না। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। কালো হয়ে যাওয়া, রুক্ষতা, অল্প বয়সে চেহারায় বলিরেখা পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি। তাই রোদে বের হওয়ার আগে সানগ্লাস নেওয়া, সানস্ক্রিন মাখা জরুরি।