নিয়মিত মদ্যপান করলে বাড়ে প্যানক্রিয়াটাইটিসের ঝুঁকি! কোন কোন উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হবেন?
পেটে ব্যথা যে কোনও কারণেই হতে পারে। তবে ঘন ঘন এই সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করাই ভাল। পেটে ব্যথার সঙ্গে বমি এই দুই লক্ষণ আরও মারাত্মক। অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসের অন্যতম উপসর্গ হল এই দুই লক্ষণ। প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের মূল কাজ হল পাচক রস বা এনজ়াইম তৈরি করা। এই পাচক রস আমাদের খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন বা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনও তৈরি করে। সাধারণত পাচক রস বা এনজ়াইমস তৈরি হওয়ার পরে তা অগ্ন্যাাশয়ে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। অন্ত্রে পৌঁছনোর পরেই সেগুলি সক্রিয় হয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে। কিন্তু কোনও কারণে যদি অগ্ন্যাাশয়ে থাকা অবস্থাতেই এনজ়াইমগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন তা প্যানক্রিয়াস গ্ল্যান্ডকেই হজম করতে শুরু করে। ফলে অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ শুরু হয়, এই প্রদাহকেই প্যানক্রিয়াটাইটিস বলে। প্যানক্রিয়াসে প্রদাহ দু’ধরনের হতে পারে। একটি হল হঠাৎ প্রদাহ বা অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস। দ্বিতীয়টি হল ধীর গতির প্রদাহ বা ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস।
কী কী কারণ এই রোগ হয়?
নানা কারণেই অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। মূলত পিত্তনালিতে পাথর জমলে কিংবা অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে এই রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। এ ছাড়াও শরীরে লিপিড বা ক্যালশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অগ্ন্যাশয়ে কোনও কারণে চোট-আঘাত লাগলেও এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের কারণে, ভাইরাল সংক্রমণ থেকে এবং কিছু কিছু অস্ত্রোপচারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও এই রোগ হতে পারে। পরিবারে কারও এই রোগ থাকলেও জিনগত কারণেও অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস হতে পারে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- বমি
- পেটে ব্যথা
- রোগের লক্ষণ