কিছু একটা হতেই হবে, এমন তাড়না ছাড়াও জীবনযাপন সম্ভব: আফজাল হোসেন
নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে যাই। আগের দিন রাতে ফোনে বলেছিলেন, কী যেন সম্পাদনা করছেন। নতুন কিছু বানিয়েছেন? আফজাল হোসেন বললেন, ‘চুপচাপ বসে থাকতে পারি না। মাথায় কিছু না কিছু চলতেই থাকে। গতকাল রাতে (সোমবার) আমারই লেখা কবিতার ভিডিও চিত্র বানাচ্ছিলাম। কবিতা পড়ায় উৎসাহ কম, সেটা দেখা ও শোনার উপযুক্ত করে সামনে এগিয়ে দিলে অনেকে হয়তো আগ্রহ নিয়ে শুনবেন এবং দেখবেন।’ কবিতা দিয়ে শুরুর পর আলাপে আলাপে চলে আসে নানা প্রসঙ্গ।
আর্ট কলেজ থেকে অভিনয়ে
ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন। শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭০ সালে আফজাল হোসেন ঢাকায় আসেন। ভর্তি হন আর্ট কলেজে। ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টস ডিগ্রি নেন। তখন মাস্টার্স করার সুযোগ ছিল না। কলেজ থেকে বেরিয়ে ঢাকা থিয়েটারে যোগ দেন। একই বছরে টেলিভিশনে অভিনয় করার সুযোগ করে দেন আবদুল্লাহ আল মামুন। ক্রমে হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেতা, নায়ক। সেই সময়ের আরেক জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা আর আফজাল হোসেন একের পর আলোচিত নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয় জুটি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। আগামী বছর অভিনয়ের চতুর্থ দশকে পা দেবেন আফজাল হোসেন।
নানা রকম আফজাল হোসেন
ছাত্রজীবন থেকে বইয়ের প্রচ্ছদ আর রেখাচিত্র আঁকতে শুরু করেন। দুই বিষয়েই লক্ষণীয় বদল আনেন তিনি। টেলিভিশনের জন্য অনেক নাটক রচনা করেছেন। তাঁর লেখা ‘পারলে না রুমকি’ এখনো জনপ্রিয় রোমান্টিক নাটক। টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবেও তাঁর খ্যাতির কথা সবার জানা।
আফজাল হোসেন কবিতা লেখেন, পাঁচটি কবিতাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘তিন নারীর পাঠশালা’ ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয়। চার বছর পর আসে দ্বিতীয় কবিতাগ্রন্থ ‘শুধু একটাই পা’। এই দুটি গ্রন্থের জন্য সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পান। প্রকাশিত অন্যান্য কবিতাগ্রন্থ ‘কোনো জোনাকি এ অন্ধকার চেনে না’, ‘১৯ নং কবিতা মোকাম’, ‘আমরা ধুলোকাদার আমরা আদর্শলিপির’।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- তারকার জীবন
- আফজাল হোসেন