উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কা কি সহসাই দূর হবে?
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতন ঘটার পর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জটিল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা।
অবশ্য উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়নি। গত প্রায় ৩ বছর ধরে আমরা উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করে চলেছি। আমরা সাধারণভাবে মূল্যস্ফীতি বলতে বুঝি, ভোক্তার ক্ষেত্রে গড় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া। অর্থনীতির পরিভাষায় কোনো একটি বা দুটি নির্দিষ্ট পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে আমরা মূল্যস্ফীতি বলি না। দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মূল্যস্ফীতি পরিমাপ করে থাকে।
তারা নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের গড় মূল্যবৃদ্ধি বা হ্রাসকে বিবেচনায় নিয়ে মূল্যস্ফীতি পরিমাপ করে থাকে। এই নির্দিষ্ট পণ্যগুলো আবার দুভাগে ভাগ করা হয়। কোনোটি শহরের জন্য, আবার কোনোটি গ্রামের জন্য। শহরের জন্য মূল্যস্ফীতি নির্ণয়ের জন্য ৪২২টি পণ্যকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। আর গ্রামের ক্ষেত্রে ৩১৮টি পণ্যকে বিবেচনায় নিয়ে মূল্যস্ফীতি পরিমাপ করা হয়। এসব পণ্যের গড় মূল্য যদি বৃদ্ধি পায়, তাকে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আবার যদি এসব পণ্যের গড় মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হয়েছে বলে মনে করা হয়।