শীতে পানি পানে অনীহা, খেতে পারেন বিকল্প ৩ পানীয়
গরমে রোদের তাপে ঘাম যেমন হয়, তেমনই পানির পিপাসাও পায়। কিন্তু শীতের দিনে সেই বালাই নেই। কেননা, এই সময় পানির পিপাসা তেমন একটা পায় না। যার ফলে পানি খেতেই ভুলে যান অনেকেই। বেশি ঠান্ডার জায়গায় থাকলে আবার পানি পানে অনীহাও হয়।
কিন্তু শীতের মৌসুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায়, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য এবং ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে এই মৌসুমেও পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। পানি পানের কথা মনে না থাকলে, দিনে এক থেকে দু’বার চুমুক দিতে পারেন রকমারি পানীয়তে। ভিটামিন এবং খনিজে সমৃদ্ধ ফল এবং সবজির রসে শুধু পানির অভাব মিটবে না, খুলবে রূপও।
গাজর-কমলালেবুর রস: গাজরে ভিটামিন এ থাকে। কমলালেবু ভরপুর ভিটামিন সি-তে। বাড়তি পাওনা খনিজ। গাজর এবং কমলালেবুর রস দিনে একবার যে কোনো সময় খেতে পারেন।
কী ভাবে বানাবেন?
২টি মাঝারি মাপের গাজর
১টি কমলালেবু
১ টেবিল চামচ মধু
সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে বানিয়ে নিন পানীয়টি।
বিট-আপেল: বিটে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম-সহ বিভিন্ন খনিজ। আপেলেও রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর। ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রয়েছে এই ভিটামিনের।
উপকরণ
১টি ছোট আপেল
১টি বিট
১ চা-চামচ পাতিলেবুর রস
তিনটি উপকরণ মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিলেই পানীয় প্রস্তুত হয়ে যাবে।
শসা, লেবুর রস: শরীরে জলের ঘাটতি পূরণে শসা খেতে বলা হয়। এই ফলের বেশির ভাগটাই জল। এর সঙ্গে মুসাম্বি লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। লেবুতে থাকে ভিটামিন সি এবং নানা রকম খনিজ।
উপকরণ
১ টি শসা
১টি মুসাম্বি লেবু
খোসা ছাড়িয়ে শসা এবং লেবু মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিলেই পানীয় তৈরি হয়ে যাবে।
সকালের খাবার এবং দুপুরের খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে চুমুক দিতে পারেন এই পানীয়তে। দিনের বিভিন্ন সময়ে একাধিক বারও এমন পানীয় খেতে পারেন।