শক্তির প্রতিযোগিতায় বলি হচ্ছে ইউক্রেন
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কবে থামবে বা আদৌ থামবে কি না, সেটি নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, সেই সঙ্গে নতুন করে শঙ্কা জেগেছে এটি কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে কি না। এরই মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে বলে কেউ কেউ সতর্ক করেছেন। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন ইউক্রেনের সাবেক সামরিক কমান্ডার ভ্যালরি জালুঝনি। এই যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সম্মুখসারিতে যুদ্ধ করা, চীনের তরফ থেকে অস্ত্রের সরবরাহ এবং ইরানের শাহেদ ড্রোনের ব্যবহার—এসব বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি ন্যাটো তথা পশ্চিমা বিশ্বকে ইউক্রেনের প্রতি আরো ঝুঁকে পড়াকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রাশিয়ার অবস্থানের পাল্টা অবস্থান হিসেবে সম্প্রতি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা বাড়ানোর ভাবনা, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দি আর্মি টেকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম বা এটিসিএমএস ব্যবহারের জন্য জো বাইডেনের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে এটির ব্যবহার রাশিয়াকে নতুন করে আগ্রাসী হওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনভাবে ভাবাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন তার এক বার্তায় জানান দিয়েছেন যে এটিকে তিনি নেহাত ইউক্রেনের হামলা হিসেবে দেখছেন না, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন হিসেবে দেখছেন। সে ক্ষেত্রে রাশিয়ার তরফ থেকে পাল্টা পদক্ষেপ কেবল ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি।