জেন-জিরা ‘বখে যাওয়া প্রজন্ম’ নাকি তাদের হাতেই পরিবর্তনের চাবি

প্রথম আলো কাজী আলিম-উজ-জামান প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:০৬

আজ জেন-জি প্রজন্ম নিয়ে লিখতে গিয়ে ১৯৯৭ সালের কথা বেশ মনে পড়ছে। ওই বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন চারপাশে কারও কাছে মুঠোফোন দেখেছি কি না, মনে পড়ে না। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে কোনো কক্ষে কম্পিউটারও বিশেষ ছিল না।


পরের বছরেই (১৯৯৮) আজকের কাগজ পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। তখন আমি ও আমরা প্রায় সবাই হাতে নিউজ লিখতাম। আমি নিজে কম্পিউটারে লেখা শিখেছি ২০০১ সালে। তবে ২০০০ সাল থেকেই মুঠোফোন, কম্পিউটার একটু একটু সহজলভ্য হতে শুরু করে।


তখন ইন্টারনেটের স্পিড ছিল ভয়ানক রকমের দুর্বল। আজকের মতো ইউটিউব, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ কিছুই ছিল না। আমরা ভিসিআরে সিনেমা দেখতাম, ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শুনতাম।


১৯৯৭ সালের কথা যে কারণে এল, অর্থাৎ ওই বছর থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের (২০১২) মধ্যে যাদের জন্ম তারাই জেনারেশন জেড, সংক্ষেপে জেন-জি প্রজন্ম নামে পরিচিত। এখন জেন-জি প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের সর্বোচ্চ বয়স ২৭ বছর, আর সর্বনিম্ন বয়স ১২।


এরা জন্মের পরপরই নানা ধরনের গ্যাজেটের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। এদের আমরা ‘প্রযুক্তি প্রজন্ম’ বলতেই পারি।


জেন-জি প্রজন্মের যাঁদের বয়স ২৭, তাঁরা ইতিমধ্যে লেখাপড়া শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন। উন্নত বিশ্বে ২৬-২৭ বছর বয়সী জেন-জি ‘বস’ও আছেন হাজার হাজার। আবার বাংলাদেশের মতো অনেক দেশে লেখাপড়া শেষ করে চাকরির জন্য জুতোর সুকতলা ক্ষয় করছেন জেন-জি প্রজন্মের অনেকেই।



লক্ষণীয় হলো, জেন-জি প্রজন্মের জন্য বড় আঘাত হয়ে আসে করোনা মহামারি। ২০২০ সালে পৃথিবীব্যাপী যখন এই ভাইরাস আতঙ্ক ছড়ানো শুরু করে, জেন-জি প্রজন্মের ‘সিনিয়র সিটিজেন’দের বয়স তখন ২৩ বছর। কেউ স্নাতক শেষ করেছেন। কেউ করতে পারেননি। কেউ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন, কিন্তু কাজ করতে হয়েছে ঘর থেকে।


চাকরির শুরুতেই ‘হোম অফিস’ করতে বাধ্য হওয়ায় অনেকেরই যোগাযোগদক্ষতায় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আর যাঁরা স্নাতক শেষ করতে পারেননি, তাঁদের বারবার শুনতে হয়েছে পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার দুঃসংবাদ। অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। শুনতে হয়েছে ‘অটো পাসে’র বদনাম। অনেকেই কম্পিউটার-মুঠোফোন নিয়ে দিনরাত পড়ে থেকেছেন। পরিবারের সঙ্গে অনেকেরই ব্যবধান তৈরি হয়েছে।


অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মা সন্তানদের নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়াতেই জেন-জি প্রজন্মের মধ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে।


জেন-জি প্রজন্মের চিন্তা ও পেশাগত ভাবনা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহুমুখী গবেষণা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান গবেষণা করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের স্যানট্যানডার ব্যাংক, অনলাইন মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক, ফোর্বস ম্যাগাজিন, হার্ভার্ড ল স্কুল, হ্যারিস পোল ও গুগল ওয়ার্কস্পেস। এসব গবেষণার ফলাফল প্রতিবেদন আকারে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে হয়েছে বিস্তর তর্কবিতর্ক।


সেসব গবেষণার ফলাফলের দিকে যাওয়ার আগে বলা প্রয়োজন, জেন-জির সঙ্গে এর আগের প্রজন্ম মিলেনিয়ালের (১৯৮১-১৯৯৬) চিন্তাভাবনায় ফারাক অনেক বেশি। প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পার্থক্যই এই ব্যবধান তৈরি করেছে। মিলেনিয়াল প্রজন্ম মনে করে, জেন-জিদের মধ্যে উদ্দীপনার অভাব আছে। এরা পরিশ্রম ছাড়াই সাফল্য পেতে চায়। যদিও অভিযোগটির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও