২০৫ প্রভাবশালীর নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে শেয়ারবাজার
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পরও চক্রের সদস্যদের নির্লজ্জ দায়মুক্তি পুঁজিবাজারকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে নিয়ে এসেছে বলে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। কারসাজি চক্রের সদস্যরা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে কোম্পানি বাজারে আসার সময় জালিয়াতি করেছে। নামে-বেনামে প্রতারণা, প্লেসমেন্ট-বাণিজ্য এবং শেয়ার কারসাজি করেছে। এসবের মাধ্যমে জনগণের ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিগত বছরে যা হয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহযোগিতায় হয়েছে। বিএসইসি সরকারের বিভিন্ন মহলকে সুবিধা দিতে বাজারে এত বেশি হস্তক্ষেপ করেছে; যা বলার মতো নয়। এমন কিছু নির্দেশ সকালে এক রকম এসেছে, বিকেলে আরেক রকম। ২০১০ সালের ধসের পর দুটি কমিশন বাজার দেখভাল করছে, তারাই ভুয়া কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়েছে। প্লেসমেন্ট বাণিজ্য করায় উৎসাহিত করেছে। আর শেয়ার কারসাজিতে জড়িতদের দায়মুক্তি দিয়েছে। বাজার পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। তার ফলই হচ্ছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, এশিয়ার খারাপ বাজারের একটি।