কার সঙ্গে কার ঐক্য, কার সঙ্গে কার বিভেদ

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৩৯

কয়েক দিন ধরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তৃতা–বিবৃতিগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছি, পড়েছি। সেখানে তিনি জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে ফ্যাসিবাদের পুনরাগমনেরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কেবল বক্তৃতা–বিবৃতি নয়, বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও বিএনপির মহাসচিব জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার কথা বলেছেন। 


এর এক দিন পর জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী প্রতিটি দল ও সংগঠন। ঐক্যের কথা বলছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতারাও। 


তাঁদের সবার অভিন্ন লক্ষ্য ছিল জবরদস্তিভাবে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার সরকারকে হটানো। সেই কাজটি শেষ হওয়ার পর আন্দোলনকারী দল ও ছাত্রনেতৃত্ব কিন্তু এখন ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে। এক দলের সঙ্গে আরেক দলের নীতি ও আদর্শেরও মিল নেই।


ইতিমধ্যে বাম–ডান ও মধ্যপন্থার বিতর্ক সামনে এসেছে। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, সংস্কার, নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়েও তাঁরা একমত হতে পারছেন না। আন্দোলনকারী দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব বেড়েছে। যে অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের ফসল বলে দাবি করছে, সেই ছাত্ররাও তাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নাকচ করে দিচ্ছে। এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। 



বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, যেকোনো মূল্যে পতিত স্বৈরাচারের পুনরাগমন ঠেকাতে হবে। মাত্র সাড়ে তিন মাসের ব্যবধানে ঠেকানোর প্রশ্ন আসে কেন? তাহলে আন্দোলনকারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে? কোনো দেশে এত অল্প সময়ে বিতাড়িতরা ফিরে আসতে পারে না। ভবিষ্যৎ যা–ই হোক না কেন, বাংলাদেশ আর  ৫ আগস্টের আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না।


তবে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের মৌলিক সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে, তাদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে না পারলে, বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের ন্যায্য দাবি পূরণ করতে না পারলে তাদের মন থেকে স্বৈরাচারের ক্ষত অল্প সময়ে মুছে যাবে। সাড়ে তিন মাসে মানুষ ৫ আগস্টের আগের ও পরের অবস্থার তুলনা করতে শুরু করেছে।  


জাতীয় ঐক্য হয় সম–আদর্শ ও সমচিন্তার মানুষের মধ্যে। আওয়ামী লীগ পুরো দেশকে নিজেদের ছাঁচে তৈরি করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটিয়েছিল। জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে জয়ীরা সেই পথে যাবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। অনেকেই বলেছেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের সঙ্গে আন্দোলনে বিজয়ী শক্তির সমঝোতা হতে পারে না। এর কারণ তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। এর কারণ তারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছে। তাদের যুক্তি মানলাম। 


কিন্তু আওয়ামী লীগ বিতাড়িত হওয়ার পরও সংবাদমাধ্যম আক্রমণ ও আক্রোশের শিকার হচ্ছে। যারা এ কাজটি করছে, তাদের সঙ্গে কী করে সমঝোতা বা ঐক্য হতে পারে। যাঁরা বলছেন ফ্যাসিবাদী রাজনীতি রুখে দাঁড়াবেন, আমরা তঁাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু তঁাদের বুঝতে হবে গণতান্ত্রিক রাজনীতি দিয়েই ফ্যাসিবাদকে রুখতে হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও