
আদানির সবই ছিল গোপনীয়, প্রায় চার বছর অন্ধকারে ছিলেন বিপিডিবির কর্মকর্তারাও
আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় নির্মিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির মূল্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধারায় উল্লিখিত শর্ত পর্যন্ত এ চুক্তির প্রায় সব বিষয়বস্তুই অত্যন্ত গোপন ছিল দীর্ঘদিন। এমনকি বিপিডিবির সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও বলছেন, এ চুক্তি নিয়ে চার বছরেরও বেশি সময় অন্ধকারে ছিলেন তারা। হাতে গোনা সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বাইরে এ চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে কেউই কিছু জানত না।
বকেয়া পাওনা নিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আদানি গ্রুপের দেন-দরবারের বিষয়গুলো নিয়েও ব্যাপক মাত্রায় গোপনীয়তা বজায় রেখেছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। এরও আগে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় দফায় দফায় গোপনে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এমনকি গ্রুপটির কর্ণধার গৌতম আদানিও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বুঝিয়ে দিতে গত বছর ৩ ঘণ্টার এক ঝটিকা সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বিষয়গুলো নিয়ে আদানি পাওয়ারের কোনো কর্মকর্তা বা শীর্ষ নির্বাহী কখনই বাংলাদেশী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি।