‘যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করা সম্ভব হবে না’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় উদ্বেগে ফেলেছে অভিবাসীদের। অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ও যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশটির নাগরিকত্বপ্রাপ্তির যে আইন তা বাতিল ঘোষণার শঙ্কার বিষয়টি অনেককে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
এসব বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইমিগ্রেশন ল’ ফার্ম রাজু ল’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল অ্যাটর্নি রাজু মহাজন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ইসমাইল হোসাইন রাসেল।
ট্রাম্প প্রশাসন দয়িত্ব নেওয়ার পর অভিবাসীদের বিষয়ে কড়াকড়ি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশ-ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের জন্য একটি বড় আতঙ্কের বিষয় হতে পারে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। এটি আসলে কতটা জটিল হবে বলে মনে করেন?
রাজু মহাজন: এটা জটিল তো হবেই। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প একটা বিশাল ক্ষমতা নিয়ে এবার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। গতবার যখন তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন অনেকটা অনভিজ্ঞ ছিলেন, প্রশাসন সম্পর্কে তার তেমন ধারণা ছিল না। এবার সেটি আছে। এর বাইরে হাউজ, কংগ্রেসসহ সব জায়গায় তাদের মেজরিটি। সাধারণত রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টরা ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে জিতলেও পপুলার ভোটে জেতেন না। এবার তিনি পপুলার ভোটেও জিতেছেন। কাজেই একটি বিশাল ম্যান্ডেট নিয়ে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন।
ফলে এখানে তার একটি ক্ষমতা থাকবেই এবং কিছু বিষয় তো প্রয়োগ হবেই। কিন্তু এটি বলে ‘বার্থ রাইট সিটিজেনশিপ’, যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম হলেই সে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়। এটা একটা সাংবিধানিক বিষয়, সুতরাং এটি পরিবর্তন করা খুবই কঠিন। এটার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ স্টেটের পার্লামেন্টে পাস করতে হবে। তারপর সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ পাস করতে হবে এবং হাউজে পাস করতে হবে। তারপরও সুপ্রিম কোর্টে এটা নিয়ে বিচার-আচার হতে পারে। আমার যেটা মন্তব্য- এটা পুরোপুরি বাতিল হবে না।