নির্মাণকাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা: করণীয় কী
দেশের অসংখ্য রাস্তায় চলাচল করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ না করেই বা কাজ শেষ হবার আগেই ঠিকাদার লাপাত্তা হবার ঘটনা ঘটেছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চারদিকে চাউর হলেও এর প্রতিকারের জন্য ত্বরিৎ কোনো ব্যবস্থা চোখেই পড়ছে না।
সরকারী-বেসরকারী অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণকাজে ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। নানা কারণে অনেক নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হবার পূর্বে বন্ধ করে দেবার খবর পাওয়া যায়। তবে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে দেশে চলমান নির্মাণকাজগুলোর অনেক ক্ষেত্রে ঘটে চলেছে অভিনব কিছু বিষয়। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় রাস্তা সংস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন তৈরি ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত অনেক ঠিকাদার চলমান কাজগুলো হঠাৎ বন্ধ করে দিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে এই প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তিন চার মাস আগেও ঘটা করে বলা হতো বলা হতো ‘সিটি করপোরেশন আগের তুলনায় সক্ষমতা অর্জন করেছে। কাউন্সিলর ও সংসদ সদস্যদের বরাদ্দ এ বছর থেকে দ্বিগুণ করা হয়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা তাদের কল্যাণে বেশি ব্যয় করার কারণেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বেড়েছে। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যথারীতি দরপত্র আহ্বান করা হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পুনঃদরপত্র বা একাধিক দরপত্র আহ্বান বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে ঠিক; কিন্তু প্রকল্পকে মানসম্পন্ন ও স্থায়িত্বশীল করা সম্ভব হয়নি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ঠিকাদার
- নির্মাণকাজ