সরকারে না থেকেও ‘স্বাস্থ্যের সরকার’
শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম দফায় ১৯ মাসের জন্য (২৮ ডিসেম্বর ১৯৯৯-১৫ জুলাই ২০০১) স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং বিগত সরকারের শেষ সময়ে গত আগস্ট পর্যন্ত মাত্র সাত মাসের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এ দুই দফায় অল্প কিছু সময় ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের আর কোনো নির্বাহী পদে ছিলেন না কখনই। অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের পুরোটা সময় জুড়ে স্বাস্থ্য খাতের সবকিছুই ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উন্নয়নকাজ, চিকিৎসকদের পেশাজীবী রাজনীতি, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে অধিকাংশ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পদে নিয়োগ-বদলি, এমনকি স্বাস্থ্য খাতসংশ্লিষ্ট সরকারের যেকোনো কর্মসূচি গ্রহণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রাখতেন তিনি।
এর মধ্যে ২০১৪ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে কে বসবেন তা নির্ধারণ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য খাতের যেকোনো সরকারি সিদ্ধান্তে তার হস্তক্ষেপ ছিল। ওই সময়কালে শেখ সেলিম নামে পরিচিত এ আওয়ামী লীগ নেতার কথার বাইরে স্বাস্থ্যে কোনো কাজ হতো না। এরপর নিজের বলয়ের বাইরে মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলে তার সঙ্গে দেখা দেয় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। তার পরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সময় অনেকটা আড়ালে ঢাকা পড়েন শেখ সেলিম। কিন্তু অব্যাহত থাকে স্বাস্থ্য খাতে আধিপত্য।