নামে-বেনামে দেওয়া হয় গায়েবি মামলা: দণ্ডিত বিএনপি নেতাদের নির্বাচনী দুয়ার খুলছে
বিরোধী দল-মত দমনে ‘মামলার জাল’কে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে বন্দি করা হয় এই জালে। নামে-বেনামে দেওয়া হয় গায়েবি মামলা। বিএনপির দাবি, ২০০৭ সাল থেকে গত ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত দলটির প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেড় লাখ মামলা করে বিগত সরকার। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামের নেতাদেরও আসামি করা হয় অনেক মামলায়। এর মধ্যে অনেক শীর্ষ নেতাই গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দণ্ডপ্রাপ্ত হন। টার্গেট করে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন—এমন অনেক নেতাকেও সাজা দেওয়া হয়। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে এ ধরনের মামলার কৌশল কাজে লাগাতে বিগত সরকার আদালতকে ব্যবহার করে।
গত ৫ আগস্টের পর সেই প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীও ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পেতে শুরু করেছেন। গত দুই মাসে সারা দেশে পাঁচ শতাধিক আসামি বিভিন্ন মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এতে করে বিএনপির মামলার ভার কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি মামলার জাল থেকে বের হতে অনেক নেতাকর্মী আইনি লড়াইয়ে জোর দিয়েছেন। অনেকের সাজার রায় বাতিল করায় খালাস পাচ্ছেন। আবার অনেক নেতার সাজার রায় বাতিলের আবেদন প্রক্রিয়াধীন। সাজা থেকে খালাস পেলেই এসব নেতা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের নির্বাচনী দুয়ার খুলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদ ও আইন বিশেষজ্ঞরা।