জলবায়ু চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন কতদূর?
বিশ্বজুড়ে মানুষের অসচেতন কর্মকাণ্ডের ফলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন তথা অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে, তা নিয়ে আশির দশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ও জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। আইপিসিসি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট পরিবেশ ও সামাজিক-অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব প্রশমনের কৌশল নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
১৯৯০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪৫তম অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একটি কার্যকর ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির ধারণা বাস্তবায়নের জন্য ইন্টারগভর্নমেন্টাল নেগোশিয়েটিং কমিটি ফর অ্য ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইএনসি/এফসিসিসি) গঠন করা হয়। আইএনসি/এফসিসিসি ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) নাম পরিগ্রহ করে। ইউএনএফসিসিসির উদ্যোগেই ১৯৯৫ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে মানুষের উদ্বেগ ও প্রতিকার নিয়ে প্রগাঢ় আলোচনা হয়, যা বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন বা কপ (কনফারেন্স অফ পার্টিজ) হিসাবে অভিহিত। ১৯৯৭ সালে জাপানের কিওটোতে অনুষ্ঠিত কপ৩-এ শিল্পোন্নত দেশগুলো ২০১২ সালের মধ্যে ৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ সীমিত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়, যা ঐতিহাসিক ‘কিওটো প্রটোকল’ নামে পরিচিত।