শ্রমিক আন্দোলন কি সবসময় মুক্তির পথ দেখায়?

ঢাকা পোষ্ট ড. সুলতান মাহমুদ রানা প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মেক্সিকান আমেরিকান নাগরিক অধিকার কর্মী সিজার শ্যাভেজ (Cesar Chavez) এবং ফিলিপিনো আমেরিকান সংগঠক ল্যারি ইটলিয়ং (Larry Itliong)-এর নেতৃত্বে নব-সংগঠিত খামার কর্মীরা ভালো বেতন এবং আরও বেশি মানবিক কাজের পরিস্থিতির দাবিতে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করেছিলেন।


তারা আংশিকভাবে মিছিল এবং অনশনের মতো অহিংস প্রতিবাদী কৌশল অবলম্বন করেন। তাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে সরকার দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। ওই সময়ে ক্যালিফোর্নিয়া কৃষি শ্রম সম্পর্ক আইন ১৯৭৫ প্রণয়ন করে—যা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সম্মিলিত দর কষাকষির ক্ষমতা দেয়। কৃষক-শ্রমিক ক্রমেই অধিকার পায়। আবার ক্রমেই নতুন দাবি-দাওয়া তৈরি হয়।


সারা পৃথিবীতে শ্রমিকদের কল্যাণে নানা ধরনের আইন থাকা সত্ত্বেও এখনো শ্রম কিংবা শ্রমের পারিশ্রমিক নিয়ে দর কষাকষি করতেই হয়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই শ্রমিক আন্দোলন একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। শ্রমিকরা যেন বঞ্চিত না হয়, তাদের দাবি যেন গুরুত্ব পায়—সেজন্য যুগে যুগে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির বিকাশ ও বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ আমরা লক্ষ করেছি।


তারপরও আইনে বৈষম্য, মজুরিতে বৈষম্য, নারী পুরুষ শ্রমিকের বৈষম্য, অধিকারে বৈষম্য বিশ্বব্যাপী আমাদের সামনে রয়ে গেছে। এসব বৈষম্য নিরসন এবং বিভিন্ন অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অসংখ্য শ্রমিক রক্ত দিয়েছে যুগে যুগে। তারপরও শ্রমিকদের তাদের দাবি-দাওয়া তথা নানা ধরনের বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে প্রতিদিন ছুটতে হচ্ছে, এমনকি লড়াই করতে হচ্ছে। নামতে হচ্ছে রাজপথে। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করছে।



উন্নত, উন্নয়নশীল কিংবা অনুন্নত যে দেশের কথাই বলি না কেন—কোনো দেশই এই সংকটের বাইরে নেই। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক আরভিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস শ্রম ইতিহাসের প্রমাণ রয়েছে—বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘটকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে সাধারণ নিপীড়িত শ্রমিক জনতা।


মার্কিন ডাক বিভাগের কর্মচারীরা ইউএস পোস্টাল সার্ভিসের অগ্রদূত। বছরের পর বছর কম বেতন এবং দেশের মেইল প্রসেসিং এবং ডেলিভারির কাজ করে। কিন্তু তাদের সামান্য লিভারেজ ছিল। কারণ ফেডারেল কর্মচারীদের ধর্মঘট করা বেআইনি ছিল। কিন্তু ১৯৭০ সালের মার্চে নিউইয়র্কের ডাককর্মীরা তাদের নিজস্ব ইউনিয়ন নেতৃত্বকে অস্বীকার করে ধর্মঘট ডাকে। শিগগিরই অন্যত্র শ্রমিকরা ফেডারেল সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সেই ধর্মঘটে যোগ দেয়।


অবশেষে নিক্সন প্রশাসন তাদের পূর্ববর্তী বেতন বৃদ্ধি করে এবং আট দিন পর ডাকবিভাগের কর্মীরা আবার কাজে ফেরে। ১৯৭১ সালে ইউএসপিএস গঠনের পর ডাক কর্মীদের বেতন এবং কাজের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করার অধিকার দেওয়া হয়েছিল।


ভারতবর্ষেও এমন উদাহরণ অসংখ্য রয়েছে। আমাদের এই উপমহাদেশে শ্রমিক আন্দোলনরে অসংখ্য নজির রয়েছে। শ্রমিকরা লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছে, দাবিও বাস্তবায়ন করেছে। শ্রমিকদের কোনো ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন হয়নি—এমন ঘটনা নেই বললেই চলে।


২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিকের ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শ্রম পরিবেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধ অর্জন, সরবরাহ ব্যবস্থার অভিঘাত সহনশীলতা বৃদ্ধিসহ সবার জন্য সমান ক্ষেত্র প্রস্তুতিতে শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও